সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে।
মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের কেওডালা এলাকায় সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়, যা দুর্ভোগের কারণ হয় যাত্রী ও চালকদের।
মেঘনাঘাট টোল প্লাজা এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটারজুড়ে ধীরগতিতে চলাচল করে যানবাহন, তবে দুপুর থেকে যানজট কমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। বেলা আড়াইটার দিকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে দেখা গেছে।
পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে টোল প্লাজায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। সকালে পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ লাইনে সৃষ্টি হয় যানজট। ফলে এ পথের যাত্রীদের অনেকক্ষণ সড়কে অপেক্ষা করে গন্তব্যে যেতে হয়। পরে পুলিশ গাড়িগুলোকে আলাদা লেনে নেয়ার পরে যানজট কমতে থাকে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে গাড়ি চলাচল বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ছুটির দিন হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। মাহে রমজানের কয়েক দিন সামনে থাকায় ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন সড়কে বেশি নেমেছে।
‘যানবাহনের চাপের কারণে মেঘনা ঘাটে টোল আদায়ে বিলম্ব হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে।’
এর আগে সড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় আবদুর রহমান নামের যাত্রী বলেছিলেন, ‘গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিমরাইল থেকে বাসে উঠে কেওডালা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে এসেছি।
‘এর পর থেকে গাড়ি ধীরগতিতে চলাচল করায় এই অংশ পার হতে অনেক সময় লাগে। গাড়িতে বসে থেকে এখন ক্লান্ত।’
ছুটির দিনে তার মতো আরও যারা ভোগান্তিতে পড়েছেন সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।আকাশ মিয়া নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘রাতে পণ্য নিয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে মেঘনা টোল প্লাজা এলাকা পর্যন্ত আসতে আমার সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা। অথচ দেড় ঘণ্টায় এ সড়ক পাড়ি দেয়া যায়।’
শিমরাইল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শরফুদ্দিন আহাম্মেদ বলেছিলেন, ‘ঢাকায় প্রবেশপথের সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ঢাকার প্রবেশপথ ফাঁকা, তবে রাতে যেসব গাড়ি ঢাকায় পণ্য নিয়ে আসে, সেগুলো যাওয়ার কারণে আউট লেনের ওই অংশে (নারায়ণগঞ্জমুখী অংশ) চাপ বেড়ে যায়। তা ছাড়া শুক্রবার অনেক ব্যক্তিগত যানবাহন ঢাকা ছাড়ে। সব মিলিয়ে বাড়তি চাপ বেড়ে যায়, তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে সড়ক।’