মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আগুনে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের মনসুরপুর গ্রামে বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে স্থানীয়দের সহোযোগিতায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আল আমিন মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে। আমার সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
‘পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই আমার। আমার বসতঘর, আসবাবপত্র, একটি গরু, দুইটি ছাগল, হাঁস-মুরগি, আমার মেয়ের স্বর্ণ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।’
তিনি জানান, রাত ৯টার দিকে তার সন্তানদের ভাত খাওয়াচ্ছিলেন স্ত্রী। ওই সময় হঠাৎ ঘরের এক পাশ থেকে আগুন দ্রুত সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। যে জায়গা থেকে আগুন লেগেছে, সেখানে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই।
আল আমিন আরও জানান, তারা সবাই ঘর থেকে বের হলেও ঘরের সব আসবাবপত্র, গোয়াল ঘরে থাকা গরু, হাঁস-মুরগিগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তার ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আল-আমীনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম বলেন, ‘আমরা কই যাব এখন? আমার জামাই দিনমজুরি করে পরিবারের খরচ চালায়। আমার ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
‘আমার ধান, চাল, খাট, ফ্রিজ, সোনা, গরু, ছাগলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা এখন কই যাব?’
পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে কৃষক আল আমিনের বসতঘর, আসবাবপত্র ও গবাদিপশু পুড়ে গেছে। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। আরও পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হবে।’
কমলগঞ্জের ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেয়া হবে।’