বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বুঝতে পারলাম মৃত্যু খুব কাছে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ মার্চ, ২০২৪ ২১:১৪

কামরুজ্জামান বলেন, ‘সবাই হুলস্থুল করে দৌড়াদৌড়ি করছে। আমি সবাইকে বললাম, আপনারা একটু শান্ত হয়ে বসেন। প্রচণ্ড আগুন। ধোঁয়ায় পুরোটা নয়তলা কালো হয়ে গেছে। সাফোকেশন হচ্ছে সবার। রুমাল হাতে দিয়ে আমি পেছনের গ্লাসগুলো ভাঙি। তখন কিছুটা সহজ হয় শ্বাস নিতে। নয়তলায় ডিশের তার ছিল। একজন কান্না করছিল। তাকে ডিশের তার দিয়ে নামিয়ে দিই।’

কীভবে মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এলেন সেই বর্ণনা দিয়েছেন বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত এস এম কামরুজ্জামান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার কামরুজ্জামান শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিউজবাংলাকে এ বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি খাওয়া শেষ করে রাত ১০টার দিকে ৯ তলায় ক্যাশ কাউন্টারে টাকা দিতে গিয়ে দেখি সবাই ছোটছুটি করছে। বললাম কী হয়েছে। বলে, আগুন লেগেছে আপনি জানেন না? বেলকনি খুলে বের হয়ে দেখি আগুনের লেলিহান শিখা। ধোঁয়া চার তলায় আমরা নয় তলায়। পরে গ্লাস বন্ধ করে দিলাম।’

কামরুজ্জামান বলেন, ‘সবাই হুলস্থুল করে দৌড়াদৌড়ি করছে। আমি সবাইকে বললাম, আপনারা একটু শান্ত হয়ে বসেন। প্রচণ্ড আগুন। ধোঁয়ায় পুরোটা নয়তলা কালো হয়ে গেছে। সাফোকেশন হচ্ছে সবার। রুমাল হাতে দিয়ে আমি পেছনের গ্লাসগুলো ভাঙি। তখন কিছুটা সহজ হয় শ্বাস নিতে। নয়তলায় ডিশের তার ছিল। একজন কান্না করছিল। তাকে ডিশের তার দিয়ে নামিয়ে দিই।’

তিনি বলেন, ‘এরপর তাকে হাতে রুমাল পেঁচিয়ে নামিয়ে দিই। তারা আমাকে বলেন, তুমিও নেমে যাও। আমি পরিচয় দিই আমি ডাক্তার। আমি নিচে আসার সময় ডান হাতে রুমাল ছিল। বামহাত দিয়ে অনেক জোর দিয়ে নামার সময় আমার হাতের মাংসগুলো ছিঁড়ে যায়। তখন পাঁচতলায় এসির বক্সের ওপর আমি দাঁড়াই।’

কামরুজ্জামান বলেন, ‘এরপর পায়ের সাপোর্ট বেলকনি ধরে আস্তে আস্তে নিচে নামি। সেখানে একটা টিনশেড ছিল। একজন পড়ে ছিল। তাকে তোলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ভারী হয়ে থাকায় একজনকে বললাম, ওপরে এসে ওনাকে একটু নামান। সে বললো আপনি আগে নামেন। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের মই ছিল। সেটা দিয়ে আমি নামার পর আর শক্তি পাচ্ছিলাম না।

‘একজনকে বললাম, আমাকে একটু তুলে সামনে নিয়ে যান। পানি পিপাসা লেগেছে। পানি খাওয়ার পর মনে আসলো ওপরে তো অনেক লোকজন আছে। ফায়ার সার্ভিসে যারা আছেন তাদের বললাম, অনুরোধ করলাম ওপরে অনেক লোকজন আছে। তারা মারা যাবে। তাদের উদ্ধার করেন। এরপর আমি হলি ফ্যামিলি থেকে ট্রিটমেন্ট নিয়ে চলে আসি।’

সে সময় কী মনে হচ্ছিল আর কতজনকে নিজে উদ্ধার করতে পেরেছেন-এই প্রশ্নে তিনি বলেন, মনে হচ্ছিল মৃত্যু খুব কাছে। তবে মৃত্যু হলেও এখন মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। যতরকম দোয়া, তওবা পড়া যায় পড়েছি। তিনজনকে উদ্ধার করতে পেরেছি। নয়তলায় ২৫-৩০ জন ছিল। পরে শুনেছি ওই ফ্লোরে সবাইকে উদ্ধার করা গিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর