রাজধানীর বেইলি রোডে যে ভবনটি আগুন লেগে ৪৬ জনের প্রাণ গেছে সেই ভবনটি বাণিজ্যিক কাজের জন্য অনুমোদন নেয়ার পরও বিনা অনুমতিতে আবাসিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বহুতল গ্রিন কোজি কটেজ ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির ব্যতয় হয়েছে যখন নির্মাণ করা হয়েছে তখন। পাঁচ তলার ঊর্ধ্বে কোনো ভবন হলে দুটি সিঁড়ি থাকতে হবে। এই ভবনে তা ছিল না।
‘সিঁড়ি প্রশস্ত থাকার কথা কিন্তু এই ভবনে একটি মাত্র সিঁড়ি তাও প্রশস্ত নয়। এ ছাড়া ভবনটি বাণিজ্যিক কাজের জন্য অনুমোদন নেয়ার পরও আবাসিক করা হয়েছে বিনা অনুমতিতে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্নভাবে নকশা অনুমোদন করা হচ্ছে কিন্তু সেসব নকশায় ইমারত বিধিমালাকে পরিপালন করা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত অনেক ক্ষেত্রে নকশা ঠিক থাকলেও যখন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে তখন ব্যতয় করা হচ্ছে।’
একেকটা দুর্ঘটনা ঘটলে নজর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কিন্তু নজর দিয়ে আমরা কী পাচ্ছি? একই কারণ পাচ্ছি, ইমারত বিধিমালাগুলো নেক্কারজনকভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকৌশলী থেকে স্থপতি যারা মালিক সবাইকেই সেই দায়িত্ব বহন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদারকির জায়গায় গাফিলতি রয়েছে, তদারকি পর্যাপ্ত হচ্ছে না। এজন্য আমরা বলেছি ভবন নির্মাণের আগে সিটি করপোরেশনের অনুমতি যদি বাধ্যবাধকতা করা হয় তাহলে আমরা সেই তদারকি করতে প্রস্তুত। কারণ আমাদের জবাবদিহিতা করতে হয় জনগণের কাছে। অন্য কর্তৃপক্ষের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই।’
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ সব ক্ষমতা ব্যবহার করে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই সুযোগ দিলে আমরা অবশ্যই করবো।