ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক কারবারির বাড়ি থেকে মোরসালিন নামে আরেক মাদক কারবারির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই মাদক কারবারি মো. আব্দুল্লাহ পরিবারের লোকজনসহ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় সোমবার নিহতের ভাই আব্দুল হাকিম ভূইয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পরিবার অভিযোগ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মোরসালিন ও আব্দুল্লাহ দুজনই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। আব্দুল্লাহর কাছে মোরসালিন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পেত। শনিবার রাতে বড় ভাই আব্দুল হাকিমের দোকানের সামনে থেকে শিবনগর গ্রামের তালু মিয়ার ছেলে সোহেল মোরসালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন রোববার আব্দুল্লাহর বাড়িতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
বড় ভাই আব্দুল হাকিম বলেন, ‘জানতে পারি যে শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের কাছে আমার ভাই দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শনিবার দুপুরে নাকি আরেক ভাই রায়হানকে একটি কাগজে হিসাব লিখে দিতে বলে মোরসালিন। পরদিন সোহেল আমার দোকানের সামনে থেকে ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়। সেই রাতে রায়হান বাড়ি ফেরেনি। পরের দিন রোববার বিকেলে শিবনগরে আব্দুল্লাহর ঘরে আমার ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে। আমার ভাই পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করতো। আব্দুল্লাহ আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।’
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিবনগর গ্রামে আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙে বস্তাবন্দি অবস্থায় মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহে গলায় কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সোমবার নিহতের বড় ভাই আব্দুল হাকিম ভূইয়া আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেন। পলাতক আব্দুল্লাহকে খুঁজছে পুলিশ।