বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্মাণাধীন ভবনে সওজের দেয়া ‘লাল দাগ’ মুছল কে

  • প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও    
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৪৪

ভবনের মালিক মুনসেফ আলী বলেন, ‘এ লাল দাগও ভুয়া।’ তার দাবি, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জমিতে নির্মাণাধীন চার তলা একটি ভবনের কিছু অংশকে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে ‘লাল দাগ দেয়’ সংস্থাটি।

ওই ভবনে সওজের দেয়া সেই ‘লাল দাগ’ মুছে ফেলা হয়েছে, তবে কে বা কারা এ কাজটি করেছে তা জানা যায়নি।

স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বাসস্ট্যান্ড এলাকার শহিদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে নির্মাণাধীন ওই ভবন পরিদর্শন করে সওজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় মাপজোক করে ভবনের সামনের কিছু অংশ সওজের জমিতে পড়ায় লাল দাগ দেয়া হয়। ভবনের মালিককে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতেও বলা হয়।

এ ঘটনায় নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, সেদিনের পর থেকে এক সপ্তাহ ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। হঠাৎ তারা দেখেন ভবনের দেয়ালে সওজের দেয়া লাল দাগ কেউ একজন মুছে দিয়েছেন এবং ভবন নির্মাণশ্রমিকরা ভেতরে কাজ করছে। তারা তাৎক্ষণিকভাবে সওজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় ও খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছে।

নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, সওজের দেয়া লাল দাগটি সূক্ষ্মভাবে মুছে ফেলা হয়েছে। নতুন করে দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে কোনো লাল দাগ ছিল। সেই লাল দাগ মিশিয়ে কালো কালি দিয়ে একটি দিক চিহ্ন দেয়া হয়েছে।

কে লাল দাগ মুছে ফেলেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ভবনের মালিক ও সওজ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলামের কাছে লাল দাগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ভবনের মালিককে জিজ্ঞাসা করতে বলেন।

লাল দাগ কেন মেশানো হলো, এ বিষয়ে কোনো লিখিত কাগজ ভবনের মালিককে দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাগজ দেয়া হয়নি। কেউ যদি জোর করে কাজ করে তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, আগামী মঙ্গলবার ওই স্থানে তিনি আবারও মাপজোক করবেন। এ সময় তিনি ভবনের মালিক ও তার পক্ষের লোকজনকে থাকতে বলেন।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে ভবনের মালিক মুনসেফ আলী বলেন, ‘এ লাল দাগ ও ভুয়া।’

তার দাবি, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হচ্ছে এবং তিনি মাপজোক করেই ভবন নির্মাণ করছেন। সড়ক ও জনপথের কাছ থেকে কোনো লিখিত কাগজও পাননি। এ নিয়ে তিনি প্রয়োজনে আদালতে যাবেন।

এদিকে সওজের দেয়া লাল দাগ দেয়ার পর তা মুছে ফেলায় স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্ন ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

স্থানীয় এমদাদ উল্লাহ্ বলেন, ‘একটি ভবন পরিকল্পিতভাবে ও যথাযথ আইন মেনে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করে নির্মাণ হবে, এটি আমাদের সকলের চাওয়া। সওজ কর্তৃপক্ষ একটি লাল দাগ দিয়েছে। সে দাগ যখন তখন মুছে ফেলা যায় কি না, এ নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

‘সওজ কর্তৃপক্ষের দেয়া একটি দাগ উধাও হয়ে যাবে, কেউ জানবে না, এমন ঘটনা সত্যি ভাবনার বিষয়। আমার ভেতরে অনেক নেতিবাচক ধারণাও তৈরি হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খোঁজ নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর