ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে ঘোষণটা আগেই দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে খালের বড় অংশ দখল করে গড়ে তোলা ১০ তলাবিশিষ্ট পাকা ভবনও।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে শুক্রবার শুরু হওয়া এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল পরিষ্কার করার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের ১৫ শতাধিক কর্মী। এ সময় মেয়র নিজেও সক্রিয়ভাবে খাল পরিষ্কার করার কাজে অংশ নেন।
ডিএনসিসি মেয়রের নেতৃত্বে শুক্রবার খাল উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া এই অভিযানে ব্যবহার করা হয় ছয়টি বিশেষ বুলডোজার, এক্সকাভেটরসহ বিভিন্ন গাড়ি।
খাল দুটি পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙোহ শুরু হয় খালের অংশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা ভাঙার কাজ। এ সময় একটি ১০ তলা ভবনের অবৈধভাবে নির্মাণ করা অর্ধেকের বেশি অংশও ভেঙে ফেলা হয়।
এর আগে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে মেয়র নিজেও খালে গ্লাভস হাতে খাল পরিষ্কারে অভিযানে নামার আগে বসিলার পুলিশ লাইন মাঠে বিডি ক্লিনের ১৫ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে শপথ পাঠ করান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের খালের জায়গায় কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না। অবৈধভাবে খালের জমি দখলকারীরা যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন ছাড় নেই। খালের জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো আমরা উচ্ছেদ করবই।’
খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যারা খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করেন তাদেরও সমালোচনা করেন মেয়র আতিক। তিনি বলেন, ‘যারা খালে ময়লা ফেলে তাদের মস্তিষ্কে ময়লা আছে। তাদের মনে ময়লা আছে বলেই এভাবে খালে ময়লা ফেলতে পারে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলো আগের রূপে ফেরানো হবে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাট ডুবে যায়। কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।’