জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আগামী মার্চে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আবারও বৃদ্ধি করবে সরকার। গণবিরোধী সরকার জবাবদিহিতার ধার-ধারে না। গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন জনগণকর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানো হচ্ছে।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত হবে অতীব নিষ্ঠুর। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হলে এর চেইন রিএকশনে জনসাধারণের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কৃষি শিল্প, কলকারখানা গভীর সংকটে পড়বে।
‘এমনিতেই বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে। মানুষ তার প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এর ওপরে এই দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর চরম আঘাত আনবে।’
মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষরা কঠিন কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘দেশে ৮০ শতাংশ মানুষের আয় বাড়েনি। অনাহারে-অর্ধাহারে কোনোরকম জীবন কাটাচ্ছে। তার ওপর সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি জনগণকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া হবে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশ-বিদেশ থেকে ব্যাপকহারে ঋণ নিয়ে জনগণের ওপর বিপুল পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে ঋণের বোঝা। এখন ডলার সঙ্কটের কারণে কয়লা উৎপাদনের খরচ বাড়ার কথা বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি সরকারের একটি অমানবিক খেলা।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির উদ্যোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, মার্চ মাস থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি ওই সময় বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। এর সঙ্গে ভোক্তা পর্যায়েও কিছুটা সমন্বয় হবে, তবে ভোক্তাদের ওপর খুব বেশি প্রভাব যাতে না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে। যারা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাদেরটা বেশি বাড়বে।