রাজধানীর বাড্ডায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার আরেক বেসরকারি হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিক্যাল চেকআপ সেন্টারে এই ঘটনার পর ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই চিকিৎসককে।
মারা যাওয়া ১০ বছর বয়সী আহনাফ তাহমিন আয়হামের বাবার নাম ফখরুল আলম। তাহমিন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। তাদের বাসা খিলগাঁওয়ে।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আওলাদ হোসেন বলেন, ‘রাত ৮-৯টার মধ্যে শিশুটিকে খতনা করানোর সময় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন তার বাবা।’
তিনি জানান, ঘটনার পর ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়ে দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাতেই। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোহেল সরোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খতনা করানোর পর জ্ঞান ফিরে এলেও শিশুটি বমি করতে করতে মারা গেছে।’
এর আগে গত জানুয়ারিতে বাড্ডার সাতারকুলে খতনা করাতে গিয়ে মারা যায় আরেক শিশু। ওই ঘটনায় সর্বশেষ হাইকোর্ট একটি তদন্ত কমিটি করে শিশুটির মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর খতনার জন্য পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ানকে বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনুমতি ছাড়াই অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে তার খতনা করানো হয়। জ্ঞান না ফেরায় শিশুটিকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়।