সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো হওয়ায় প্রায় আট মাস ধরে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো রয়েছে।
এতে উপজেলার মানুষের অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় সোমবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, পুরাতন বিল্ডিংয়ের পাশে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে রয়েছে। চারটি চাকার ভেতরে দুইটি চাকা নেই। দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশটি পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একেবারে চলাচলের জন্য অযোগ্য হওয়ার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ এটি পলিথিন দিয়ে জড়িয়ে রেখেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজন রোগী নিয়ে ঢাকা গেলে সেখান থেকে ফেরার পথে টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। যার কারণে পুরো অ্যাম্বুলেন্সটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
ওখান থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখে।
কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্স। তার মধ্যে নতুনটি বর্তমানে অ্যাকসিডেন্ট করে অকেজো হয়ে আছে। আর একটি পুরাতন, তা দিয়েই রোগী পরিবহন করা হচ্ছে, তবে সেটির সার্ভিস ভালো না হওয়ার কারণে জরুরি রোগী পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।
তাই অনেক সময় বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। এতে খরচও বেশি হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একেএম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্য নতুনটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকেজো হয়ে গেছে। আপাতত আমরা পুরাতনটা মেরামত করে রোগী পরিবহন করছি, কিন্তু সেটির সার্ভিসটা সন্তোষজনক নয়। আমরা একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এখন কতদিনে তা পাব এটি জানা নেই।’
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন রাম পদ রায় মুঠোফোনে বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করতে অনেক টাকা লাগবে। আমি মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়েছি, না হলে নতুন একটা অ্যাম্বুলেন্সের জন্যও আবেদন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবশ্যই একটা ব্যবস্থা করবে বলে আশা করছি।’