মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারের বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর চলমান সংঘর্ষের কারণে কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকা সোমবার রাতে শান্ত ছিল। শোনা যায়নি গোলাগুলির কোনো শব্দ, কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে আবারও।
স্থানীয়রা বলছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে, তবে গোলাবর্ষণ ও মর্টার শেলের আওয়াজ শোনা যায়নি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওপারে সীমান্তে কুমিরখালী ঘাঁটির দখল করার জন্য গোলাগুলি হচ্ছে বলে শুনেছি। গুলির শব্দ শোনা গেলেও আগের মতো এপারে গুলি আসছে না, তবে একদম সীমান্তের কাছাকাছি আরাকান আর্মির অবস্থান দেখে এপারের মানুষ কিছুটা ভয়ে আছে।’
ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কানজরপাড়া সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে না। লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে যেন কোনো লোকজন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে কিছু জায়গায় গোলাগুলির খবর পেয়েছি, তবে অন্যদিনের তুলনায় সীমান্তে গোলাগুলি কমেছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছি আমরা।’
গত কদিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপের বিকট শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠেছে সীমান্তবর্তী এলাকা। মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া বুলেট ও মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে বসতবাড়িগুলোতে।
এতে সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ছে। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। কৃষিসহ অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা।