মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত-সংঘর্ষের প্রভাবে বাংলাদেশের বান্দরবান ও কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী জনপদে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি সজাগ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ধুমধুম সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্তের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছে।
ঘুমধুম মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিবর্তে উত্তর ঘুমধুমের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে।
এছাড়া পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ নূরে আলম মিনা, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি সীমান্ত এলাকা ও ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন।
ওই কেন্দ্রটিতে পাঁচ শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে ১৫৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য অবস্থান করছেন। তাদেরকে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে বিজিবি।
ডিআইজি নূরে আলম মিনা জানান, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সীমান্তে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব কাজ করছে।
এদিকে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে কোনো গোলাগুলি না হওয়ায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে লোকজনদের জিরো লাইনের কাছে না যেতে নির্দেশনা দিয়েছে বিজিবি। টহল বাড়ানো হয়েছে সীমান্তে। সেখানে বসবাসকারীরাও ঘরে ফিরে গেছেন।