বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে শীত কি বিদায়লগ্নে

বর্তমান সময়টাকে শীতের বিদায়লগ্ন বলা যায় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘বলতে পারেন, বলা যায়। আমরা যেটা ফোরকাস্ট (পূর্বাভাস) করছি, আগামী ১৪ এবং ১৫ তারিখে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকাতে বৃষ্টি হতে পারে এবং এ বৃষ্টিপাতকালে রাতের যে তাপমাত্রা, সেই রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি বা স্থানভেদে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসও বেড়ে যেতে পারে এবং ওই সময়ে মানুষের মধ্যে শীতের কোনো অনুভূতি আর ওইভাবে থাকবে না।’

গায়ে একের পর এক কাপড় জড়ানোর পরও থাকত শীতের অনুভূতি। হিমেল বাতাসে কেঁপে উঠত শরীর।

কিছুদিন আগেও দেশজুড়ে ছিল এমন পরিস্থিতি, তবে গত কয়েক দিনে পাল্টেছে চিত্র। এমন বাস্তবতায় দেশে শীত বিদায়লগ্নে কি না, তা জানতে সোমবার কথা হয় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সঙ্গে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত যে রকম অবস্থা, তাতে আমরা দেখছি যে, এই মুহূর্তে খুব উল্লেখযোগ্য শীত নেই। কারণ আমরা যদি রংপুর বিভাগের কথা বিবেচনা করি, একটা স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি সবগুলো স্টেশনের রাতের যে তাপমাত্রা, সেই রাতের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। আমরা এখন যে রকম সিচুয়েশন দেখছি, তাতে আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন এ রকম তাপমাত্রা, রাতের যে তাপমাত্রা, সেটা আরও বাড়তির দিকে থাকবে।

‘অর্থাৎ, আমরা বলতে পারি যে, রংপুর ডিভিশনে (বিভাগ) তো এই মুহূর্তে রাতের তাপমাত্রা কম। সেখানেও তাপমাত্রা মোটামুটি ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও ওপরে উঠে যেতে পারে; পুরো রংপুর ডিভিশনে। সুতরাং রাতের তাপমাত্রা যদি ১২ বা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যায়, তাহলে সেই পরিস্থিতিকে আমরা ওইভাবে শীত হিসেবে গণ্য করব না বা করি না।’

দেশে তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ধরা হয়। তখন শীতও বেশি অনুভূত হয়।

আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ‘আসলে শীত বিষয়টা তো সামগ্রিকভাবে একটা অনুভূতির বিষয়। ঠিক আছে? তো সাধারণত তাপমাত্রা যখন ১০ ডিগ্রি বা তার নিচে নেমে যায়, রাতের তাপমাত্রা এবং তার সাথে যদি বাতাস থাকে, সে ক্ষেত্রে শীতের অনুভূতিটা বেশি থাকে। এখন যেহেতু বাতাসের যে প্যাটার্ন (ধরন), সেটাও চেঞ্জ হয়ে গেছে। এখন উত্তরের বাতাস ওইভাবে প্রমিনেন্ট (লক্ষণীয়) নয়। এটার সাথে দক্ষিণের বাতাসও যোগ হয়েছে। সুতরাং মানুষের মধ্যে শীতের অনুভূতিটা প্রকটভাবে বোঝার সুযোগ নাই।

‘আবার আমরা যদি দিনের তাপমাত্রা বিবেচনা করি, যেমন: গত ১৫ দিন বা ২০ দিন আগেও দিনের যে তাপমাত্রা ছিল, ১২ থেকে ১৪ বা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে, এখন দিনের যে তাপমাত্রা, রংপুর ডিভিশনে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই হচ্ছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার মানে হচ্ছে রোদ ওঠার সাথে সাথেই কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড রকমের গরম অনুভূতি চলে আসার কথা। সুতরাং সামগ্রিকভাবে যদি আমরা বলি যে, এই মুহূর্তেই দেশে শীতের অনুভূতি ওইভাবে বিরাজ করছে না।’

বাংলাদেশে শীতলতম মাস জানুয়ারি। গত মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তীব্র শীত অনুভূত হয়।

গত মাসের ৩০ তারিখ থেকে শীত কমতে শুরু করেছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের শীতলতম মাস হচ্ছে জানুয়ারি মাস এবং জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখের পর থেকেই সাধারণত রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তো এই বছর যে বিষয়টা পরিলক্ষিত করেছি, সেটা হচ্ছে জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত মোটামুটি শীতের প্রকোপ বেশি ছিল। এর পর থেকেই কিন্তু শীতের অনুভূতি কমতে শুরু করেছে। এখন কিন্তু শীত ওই অর্থে নেই।’

বর্তমান সময়টাকে শীতের বিদায়লগ্ন বলা যায় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বলতে পারেন, বলা যায়। আমরা যেটা ফোরকাস্ট (পূর্বাভাস) করছি, আগামী ১৪ এবং ১৫ তারিখে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকাতে বৃষ্টি হতে পারে এবং এ বৃষ্টিপাতকালে রাতের যে তাপমাত্রা, সেই রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি বা স্থানভেদে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসও বেড়ে যেতে পারে এবং ওই সময়ে মানুষের মধ্যে শীতের কোনো অনুভূতি আর ওইভাবে থাকবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর