মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের মধ্যে দেশটি থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে, যা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা জানান, শনিবার ভোরে চারটি গুলি মিয়ানমার সীমান্তবর্তী উত্তরপাড়ার আলীর দোকানে এসে পড়ে। আরও দুটি গুলি এসে পড়ে হাইওয়ে সংলগ্ন মাঝেরপাড়ার আবসারের বাড়ি ও উত্তরপাড়ার মানিক হোসেনের বাড়িতে। এ ছাড়া কৃষিজমিতেও গুলি এসে পড়েছে।
তিনি জানান, গুলি পড়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন এলাকায়।
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে ভোর থেকে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমার অংশ থেকে অবিরাম গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, তবে সীমন্ত দিয়ে যেন কোনো লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’
এদিকে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া ও জাদিমোরা গ্রামের মাঝামাঝি লালদিয়া সীমান্তে মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ গ্রামটি হ্নীলা ইউনিয়নে পড়েছে। ওই সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
হ্নীলা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভোর পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লালদিয়া সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের জামবনিয়া, রাইম্মবিল, পেরাংপুরু ও কাইনবন্যা এলাকায় থেমে থেমে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলি হয়েছে।’
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আবার হঠাৎ করে মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্তে মর্টার ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে, তবে টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।’
আগের দিন শুক্রবার ১৩৭ অনুপ্রবেশকারীকে প্রতিহত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্য দিনের তুলনায় গতকাল সীমান্ত শান্ত ছিল।’