পিরোজপুরের নেছারাবাদে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বরিশাল নগরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চরকাউয়া এলাকা থেকে বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আল-আমিন শেখ মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৮ বরিশালের মিডিয়া সেল থেকে বুধবার রাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার আল-আমিন শেখ মুন্নার বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শেখ মাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকার।
মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, পিরোজপুরের নেছারাবাদের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন মুন্না। পরবর্তী সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেছারাবাদ থানাধীন জলাবাড়ি ইউনিয়নের বাবুর বাড়ি সংলগ্ন রুবেল হোসেনের মুরগির খামারে ফাঁকা ঘরে নেন ওই যুবক। সেখানে মুন্নাসহ কয়েকজন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
পরবর্তী সময়ে স্কুলছাত্রী বিষয়টি পরিবারকে জানালে তার মা বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় রুবেলের মুরগি খামারের কর্মচারী ও আসামি দবির শেখ আকাশ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, তবে আত্মগোপনে চলে যান মুন্না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৮ বরিশালের উপপরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। ঘটনাটি এলাকায় ভীতির সঞ্চার ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তখন থেকেই ওই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-৮ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় ও তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরও জানান, তদন্তের ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮ বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে নগরের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চরকাউয়া এলাকা থেকে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে।
আসামিকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।