বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মূল আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট, ফেঁসে গেছেন পুলিশ কর্মকর্তা

  • প্রতিনিধি,মেহেরপুর   
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৬:১৬

আদালতের ধারণা, তদন্ত কর্মকর্তা মামলার প্রধান আসামির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অথবা অন্য কোনোভাবে প্রভাবিত হয়ে সম্পূর্ণভাবে বেআইনিভাবে অভিযোগ পত্র থেকে মূল আসামি শরিফুল ইসলামকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন।

মামলার চার্জশিটে মূল আসামিকে বাদ দেয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়ে গেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের সাবেক এক এসআই।

মেহেরপুরে ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার মূল আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়ায় ফেঁসে গেলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাংনী থানার সাবেক এসআই স্বপন কুমার বিশ্বাস। পুলিশের এই কর্মকর্তা বর্তমানে মাগুরা থানায় কর্মরত।

মেহেরপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহমান সরদার মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপারকে একটি আদেশ দেন। আদেশে গাংনী থানার অধীনে থাকা ফেনসিডিল মামলার পূর্ণ তদন্ত ও এসআই স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আইনজীবী নাসরুল্লাহ এ খবরের সত্যতা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে

গাংনী উপজেলার সওড়াতলা গ্রামে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর ফেনসিডিল পাচার হওয়ার খবর পেয়ে বিজিবির নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান। টের পেয়ে মাদক কারবারিরা ৬টি বস্তা ভর্তি ফেনসিডিল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তবে এ সময় টর্চলাইটের আলোয় সুবেদার জাকির দুই মাদক কারবারিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। পরে সেখান থেকে ৫৯৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয় ।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে গাংনী থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৩ (খ) ধারায় মামলা হয়।

মামলায় আসামি হিসেবে শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ রুবেলের নাম উল্লেখ করা হয়। গাংনী থানার তৎকালীন এসআই স্বপন কুমার বিশ্বাস মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান। কিন্তু তিনি পরিকল্পিতভাবে কতিপয় সাক্ষীর কার্যবিধির ১৬১ ধারায় জবানবন্দি তৈরি করেন এবং বেআইনিভাবে প্রধান আসামি শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে অপর আসামি রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালতের ধারণা, তদন্ত কর্মকর্তা মাদক মামলার প্রধান আসামির কাছ থেকে অনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে অথবা অন্য কোনোভাবে প্রভাবিত হয়ে সম্পূর্ণভাবে বেআইনিভাবে মামলার ৩১২ নম্বর অভিযোগপত্রে অভিযোগের দায় থেকে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর মামলার মূল আসামি শরিফুল ইসলামকে অব্যাহতের সুপারিশ করেন।

আদালত মামলাটি একজন পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে পূর্ণ তদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই মামলার আদেশসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের ফটোকপি পুলিশ সুপার মেহেরপুর বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন ।

আদেশে মেহেরপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদার সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ মাদকের মামলাটি বিধি মোতাবেক পুনঃতদন্ত হওয়া আবশ্যক মর্মে নিবেদন করেন এবং এক আদেশনামার মাধ্যমে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার বিশ্বাস (বিপি-৭৭৯৪০২৫৪৫৬) কর্তৃক ৫৯৫ বোতল সেনসিটিলের মামলার প্রধান আসামিকে বেআইনিভাবে “Not Sent Up” করার দায়ে বিধি মোতাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মেহেরপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর