বান্ধবীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় এক কলেজছাত্রকে ছয় বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান আলী তুহিনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা গ্রামে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মামলার বাদী ও আসামি উভয়ই রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেই সূত্রে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। তুহিন ওই ছাত্রীর কিছু গোপন ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখেন। এরপর তিনি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, কিন্তু ছাত্রী বিয়েতে রাজি হননি।
ইসমত আরা জানান, ২০২২ সালের নভেম্বরে ছাত্রীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তুহিন ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ওই ছাত্রী ও তার স্বামীকে বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি দিতে থাকেন। এসব ছবি পরিবার ও স্বজনদের মধ্যেও ছড়াতে থাকেন। এ নিয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তার স্বামীর পরিবারের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা কারেন ওই কলেজছাত্রী।
সেই মামলায় আসামিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অপর একটি ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়াও আরও একটি ধারায় তাকে এক বছরের কারদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত। মামলায় একটার পর একটা সাজা কার্যকর হবে। ফলে ছয় বছর সাজা খাটতে হবে দণ্ডপ্রাপ্তকে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়।