চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন হারবাং বনবিটের বনবিভাগে চলছে বনখেকোদের রাম রাজত্ব। সংরক্ষিত বন এবং সামাজিক বনায়নের গাছ ও বনের পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, ১০ থেকে ১২ দিন আগে হারবাং বনবিটের পূর্ব বৃন্দাবনখীল সামাজিকপাড়া এলাকায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিশ্ব ব্যাংকের অধীনে রোপণ করা অন্তত ১০ একর সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিয়েছেন হারবাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক এমইউপি সদস্য ও কথিত উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ছৈয়দ নুর।
তবে হারবাং বনবিটের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া এর কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
স্থানীয়রা বলছেন, হারবাং সামাজিকপাড়া এলাকায় বনবিভাগের পাহাড় কাটছেন ছৈয়দ নুর। এ ছাড়াও তিনি বনের গাছ কেটে বনভূমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বিক্রি করেন।
এই সাবেক এমইউপি সদস্য ছৈয়দ নুরকে স্থানীয় সচেতন মানুষরা কোনো ধরনের বাধা দিলে তিনি বনবিট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে বন মামলায় হয়রানি করবেন বলে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ আছে।
সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা ও পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে সাবেক এমইউপি সদস্য ছৈয়দ নুরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো ধরনের সামাজিক বনায়নের গাছ বা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত নেই। কে বা কারা করতেছে তাও আমার সঠিক জানা নেই। আমার কিছু শত্রুরা এ ঘটনায় আমাকে জড়াচ্ছে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. দেলোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা কিংবা বনবিভাগের পাহাড় কাটার ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। আমি আপনার কাছেই শুনলাম এ রকম বিষয়ে কোনো ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে কথা বলব।
‘বেশকিছু বন মামলা নিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ আমরা চট্টগ্রামে অবস্থান করায় সেই সুযোগেই হয়তোবা দুষ্কৃতিকারীরা এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে বলব দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’