বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেঁপে কেঁপে উঠছে মিয়ানমার সীমান্ত, বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন ২৬৪ জন

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার   
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৫৫

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্যমতে ২৬৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। যেখানে পালংখালী সীমান্ত দিয়ে এসেছেন ১১৪ জন। এখানে শুধু বিজিপি সদস্য না। সেনা বাহিনীর সদস্য, কাস্টমস সদস্য ও আহত মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিক রয়েছেন।

মিয়ানমারের ভেতরে সংঘাতের জেরে বিস্ফোরণে কেঁপে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী এলাকা। এ অবস্থায় শুধু দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যই না, সে দেশ থেকে বাংলাদেশে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসছেন সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমস কর্মী এমনকি আহত সাধারণ নাগরিকরাও।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পালিয়ে আসা ২৬৪ জন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর হেফাজতে রয়েছেন। এদের মধ্যে এদিন সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে ১১৪ জন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে আরও দুজন পালিয়ে আসেন। আর সন্ধ্যার দিকে পালিয়ে আসেন আরও ৩৫জন।

বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্যমতে ২৬৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। যেখানে পালংখালী সীমান্ত দিয়ে এসেছেন ১১৪ জন। এখানে শুধু বিজিপি সদস্য না। সেনা বাহিনীর সদস্য, কাস্টমস সদস্য ও আহত মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিক রয়েছেন।

তিনি জানান, কতজন আহত রয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না। বিজিবি এদের হেফাজতে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত অনেক তীব্রতর হয়ে উঠেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে রহমত বিল সীমান্ত দিয়ে একে একে ১১৪ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিজিবি সদস্যরা এদের অস্ত্র, গোলাবারুদ জমা নিয়ে ফাঁড়িতে রেখেছেন। ওখানে কেউ আহত আছে কি না তা জানি না।

জানা গেছে, আশ্রয় নেয়া বিজিপির সদস্যদের মধ্যে অনেকেই আহত রয়েছেন। তাদের বিজিবির তত্বাবধানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৯ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে চারজনকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে পাাঁচ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। যাদের পরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া রাতে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ৮ নাগরিক অনুপ্রবেশ করেছে। যাদেরও বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত বিজিবির পক্ষে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত কদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপের বিকট শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠেছে সীমান্তবর্তী এলাকা। মিয়ানমার থেকে ছোড়া বুলেট ও মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে বসতবাড়িগুলোতে।

এরই মধ্যে সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর একটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে একজন বাংলাদেশি নারী ও আরেকজন রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর