বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭৩টি ফায়ার স্টেশনে হবে বিশেষায়িত অগ্নিনির্বাপণ ইউনিট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৪৭

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আধুনিক অগ্নিনির্বাপক গাড়ি পাম্প ও উদ্ধার সরঞ্জামাদি সংগ্রহের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে বিদ্যমান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনসমূহকে আধুনিক সরঞ্জামে সুসজ্জিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহে ৭৩টি বিশেষায়িত অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার ইউনিট মোতায়েনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আধুনিক অগ্নিনির্বাপক গাড়ি পাম্প ও উদ্ধার সরঞ্জামাদি সংগ্রহের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে বিদ্যমান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনসমূহকে আধুনিক সরঞ্জামে সুসজ্জিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনসমূহে আধুনিক ও যুগোপযোগী গাড়ি পাম্প ও উদ্ধার সরঞ্জামাদি সংগ্রহের লক্ষ্যে ‘মর্ডানাইজেশন অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স’ এবং ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অধীনে ১৩টি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ৭৩টি বিশেষায়িত অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার ইউনিট মোতায়েন’ শীর্ষক প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

প্রকল্প দুটি অনুমোদিত হলে দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, গত এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭২৯ টাকার অবৈধ চোরাচালান পণ্য এবং মাদকদ্রব্য আটক করেছে।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যাপক তল্লাশি এবং নজরদারি বৃদ্ধির ফলে প্রায়ই বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটক করছেন। বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭২৯ টাকার অন্যান্য অবৈধ চোরাচালান পণ্য এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে দুই হাজার ৮১৭ জন আসামির বিরুদ্ধে ৩৮, হাজার ৬৯২টি মামলা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জব্দমাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, গাঁজা, হেরোইন, কোকেন, আফিম, ক্রিস্টাল মেথ আইস, এলএসডি, ইস্কাফ সিরাপ, বিভিন্ন নেশা জাতীয় ট্যাবলেট/ ইনজেকশন, বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র ও গোলাবারুদ, স্বর্ণ, রৌপ্য, বিভিন্ন প্রকার বৈদেশিক মুদ্রা, গবাদিপশু, কাঠ, কষ্টিপাথর, বিভিন্ন প্রকার তৈরি পোশাক ও কাপড়, চা-পাতা, বিভিন্ন প্রকার ফল, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যপণ্য, যানবাহন, ইমিটেশন, প্রসাধন সামগ্রী, আতশবাজি ইত্যাদি।

এদিন সংসদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জরিমানার মাধ্যমে ৭৭৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আদায় করেছে।

কুমিল্লা-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জরিমানার মাধ্যমে ৭৭৫ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করেছে।

তিনি আরওজানান, পুলিশের জরাজীর্ণ থানাগুলোকে আধুনিকীকরণ এবং প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক ও আবাসিক সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের থানায় প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর