রাজশাহীর বাঘায় মাংস বিক্রেতা মামুন হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-৮-এর সহযোগিতায় র্যাব-৫-এর একটি দল রোববার মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান খোকনও মাংস বিক্রেতা। নিহত মামুন হোসেন ও গ্রেপ্তার খোকনের বাড়ি বাঘার আড়ানী পৌরসভার পিয়াদাপাড়া এলাকায়। তারা দুজন সম্পর্কে মামাত-ফুপাত ভাই। দুজন রাজশাহীর বাঘা থানার আড়ানী বাজারে একসঙ্গে গরুর মাংস বিক্রির ব্যবসা করতেন।
র্যাব জানায়, গত ২০ জানুয়ারি সকালে রাজশাহীর বাঘা থানার আড়ানী হাটে গরুর মাংস বিক্রি করার সময় তর্কের এক পর্যায়ে মামুন হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মিজানুর রহমান খোকন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মামুনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডেরর ঘটনায় মামুনের ছোট ভাই মানিক বাদী হয়ে রাজশাহীর বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ভোক্তা অধিদপ্তর, মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিত বৈঠক করে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী সময় ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে খোকন ও মামুনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে গত বছর শেষের দিকে মামুন ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করেন। এতে মামুনের দোকানে মাংস বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং খোকনের দোকানে মাংস বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। এ নিয়ে ২০ জানুয়ারি তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হলে খোকন উত্তেজিত হয়ে মাংস কাটার ছুরি দিয়ে মামুনকে পেটে ও বুকের ডান পাশে আঘাত করেন।
এরপর খোকন মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ড্রেজার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। গ্রেপ্তারের পর খোকন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, খোকনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর বাঘা থানায় মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটি মামলা রয়েছে ও এ সব মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগও করেছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহীর বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘র্যাবের অভিযানে খোকনকে গ্রেপ্তারের কথা শুনেছি, তবে এখনও আসামিকে থানায় আনা হয়নি। থানায় আনলে বিস্তারিত জানানো যাবে।’