বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, মেহেরপুরে ৪ শিক্ষকের এমপিও স্থগিত

  • প্রতিনিধি, মেহেরপুর    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৩:৪২

স্কুলের সভাপতি রিকাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অনেক জায়গায় তিনি দুর্নীতি করেছেন, তবে আমি তথ‍্য পেয়েছি প্রধান শিক্ষকসহ আরও তিনজন শিক্ষকের এমপিও বাতিল হয়েছে।’

মেহেরপুরে অনুমোদন ছাড়া শ্রেণি শাখা খুলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া ও তাদের এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চার শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

বিভাগীয় তদন্ত শেষে মেহেরপুরের গাংনীর ভরাট বিটিডি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হকসহ তিনজনের সরকারি বেতন জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

স্কুলটির সভাপতি রিকাত হোসেন সোমবার এসব তথ্য জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গাংনীর বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (গ) শাখায় অনুমোদন ছাড়াই তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক এনামুল হক। তারা হলেন এসএম আল মামুন, শাহানাজ পারভীন ও শেফালি খাতুন।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির (গ) শাখার কোনো অনুমোদন নেই।

২০২২ সাল পর্যন্ত ওই তিন শিক্ষক এক দিনের জন্যও স্কুলে আসেননি। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা কেউ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জানেন না।

টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য আব্দুল মতিন।

তিনি জানান, অভিযোগ আমলে নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। বেশ কয়েক মাস ধরে চলা তদন্তের প্রতিবেদন একপর্যায়ে উপপরিচালকের কাছে দাখিল করা হয়। তদন্তে অবৈধভাবে শাখা খোলা এবং নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হয় উপপরিচালকের কাছে।

এ বিষয়ে স্কুলের সভাপতি রিকাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অনেক জায়গায় তিনি দুর্নীতি করেছেন, তবে আমি তথ‍্য পেয়েছি প্রধান শিক্ষকসহ আরও তিনজন শিক্ষকের এমপিও বাতিল হয়েছে।’

তদন্তের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী জানান, শাখার কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন জালিয়াতি এবং অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে সত্যতা মিলেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই উপপরিচালক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এ ছাড়াও দুদক ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে পৃথক তদন্ত করা হয়। তিনটি তদন্তেই অনিয়ম ধরা পড়ে। গত রোববার এমপিওর বিষয়টি ছাড় হয়েছে বলে জানান গাংনী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক।

অভিযোগ ও এমপিও স্থগিতের বিষয়ে ওই চারজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কেউ এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরো খবর