বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঋণের চাপে বাবুর হাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ দুই মেয়ে খুন, দাবি স্বজনদের

  • প্রতিনিধি, নীলফামারী   
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২৩:০৮

পুলিশের ধারণা, প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে ওই তিনজনকে হত্যা করেন বাবু মোল্লা। পরে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

নীলফামারী সদরে দুই সন্তানসহ এক অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর মরদেহ উদ্ধার রহস্যের জট খুলছে। স্বজনদের দাবি, ঋণের চাপে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাশিকুল হক মোল্লা ওরফে বাবু মোল্লা।

পুলিশের ধারণা, প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে ওই তিনজনকে হত্যা করেন তিনি।

শুক্রবার সকালে উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দারোয়ানি বন্দর বাজার এলাকায় বাবু মোল্লার নিজ বাড়ি থেকে পরিবারের তিন সদস্যের মরদেহ ও তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আশপাশের এলাকায় সাড়া পড়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় বাবু এখন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে তার স্বজনরা জানান, বাবু আগে থেকেই মাদকাসক্ত ছিলেন। বিষয়টি এতই তীব্র আকার ধারণ করে যে, কিছুদিন আগে তাকে পাবনার মানসিক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়।

তাদের দাবি, এলাকার অনেকেই তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পায়। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এসব কারণেই তিনি এমন নারকীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।

খবর পেয়ে রংপুর থেকে পিবিআই সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে নিহতদের মরদেহ নীলফামারী মর্গে নেয়ার ব্যবস্থা করেন তারা।

পুলিশের ধারণা, রাতে মা ও মেয়েদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর তাদের স্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ঘুমের ট্যাবলেটের পাতাও পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শুক্রবার সকালে নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বাবু। প্রতিবেশীরা তাকে জীবিত পেয়ে প্রথমে নীলফামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বিকেলে এ খবর লেখা পর্যন্ত তিনি সজ্ঞাহীন ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর