বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ৩ দিনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত ৩০০ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত বছর থেকেই এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনের শিকার বেশকিছু পরিবার বিভিন্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন। এছাড়া গত বছরের নদী ভাঙনের ফলে এখানে একটি গুচ্ছগ্রাম নদীতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়েছে। এ বছরও একই এলাকায় গত ৩ দিন আগে থেকে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ৩ দিনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেরপুর গ্রামের তারা প্রামাণিকের ছেলে বকুল মেম্বার, আজগর আকন্দের ছেলে ফজলু আকন্দ এবং সালামুদ্দিন তরফদারের ছেলে শাহিন মিয়াসহ প্রায় ৩০টির বেশি পরিবারের লোকজনের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের ফলে শেরপুর গুচ্ছগ্রাম ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। যেখানে নদী ভাঙনের শিকার ৩০০টির বেশি পরিবারের লোকজন গত কয়েক বছর আগে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তা ছাড়া এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর, নিজবলাইল, করমজাপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরথিনাথ গ্রাম যেকোনো সময়ে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এসব গ্রামে বসবাসরত ২০ হাজার এলাকাবাসী। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা স্কুল, মসজিদসহ নানা ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে সাহাবুল ইসলাম বিপু বলেন, ‘গত ৩ দিনের নদী ভাঙনে ৩০টির বেশি পরিবারের বসতভিটা যমুনায় বিলীন হয়েছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে অন্যের জমিতে অবস্থান করছেন। আমার বাড়িটিও ভাঙনের শিকার হতে যাচ্ছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী গুচ্ছগ্রাম যমুনায় বিলীন হবে। তা ছাড়া ৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এখন নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। দ্রুত এখানে নদীভাঙন মোকাবিলায় কাজ না করলে আমরা একেবারেই যমুনার জলে ভেসে যাব।’
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।