বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্মাণ ত্রুটির কারণেই রাবির ভবনের ছাদে ধস

  • প্রতিবেদক, রাজশাহী   
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:৩৯

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণ ত্রুটির কারণেই এ ছাদ ধসের ঘটনা ঘটেছে। কোনো কিছুতে যদি ত্রুটি না-ই থাকে, তবে সেটি তো আর এমনি এমনি ভেঙ্গে পড়বে না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান আবাসিক হলের ছাদ ধসে পড়ার জন্য নির্মাণ ত্রুটি রয়েছে বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। এতে ৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ঘটনার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি দায়ী থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০১৭ সালে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান আবাসিক হলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে একটি অংশের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ সেই ছাদটি ধসে পড়ে। ঘটনার পরপরই নির্মাণ শ্রমিক, সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার তৎপরতা চালান। এ সময় আহত অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করেন তারা। এর মধ্যে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকার আজাদুল, চাপাইনবাগঞ্জ জেলার অনুপনগর এলাকার সিফাত ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের সিহাবকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে, রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আবু সামা বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ৮টি ইউনিট এই উদ্ধার কাজ চালায়। মূলত ধসে পড়া রড বা ইট-খোয়ার নিচে কেউ চাপা পড়ে আছে কি না, এটির জন্যই উদ্ধার কাজ চলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ইট-খোয়া-সিমেন্ট সরানো এবং রড কেটে জায়গাটি পরিষ্কারের কাজ করে ফায়ার সার্ভিস।’

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণ ত্রুটির কারণেই এ ছাদ ধসের ঘটনা ঘটেছে। কোনো কিছুতে যদি ত্রুটি না-ই থাকে, তবে সেটি তো আর এমনি এমনি ভেঙ্গে পড়বে না।’

এ বিষয়ে রাবির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় সন্ধ্যায় রাবি প্রশাসন সভা আহ্বান করেছে। সেখানেই এ নিয়ে আলোচনা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকাতে মিটিংয়ে আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমার্জেন্সি মিটিং কল করতে বলেছি। মিটিংয়ের পর ঘটনার কারণ বোঝা যাবে।’

এ ঘটনার নেপথ্যে কারো দায় থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপাচার্য।

এ বিভাগের আরো খবর