কক্সবাজারে উখিয়ার বালুখালীতে ইয়াবা পাচারের দৃশ্য দেখে ফেলায় বাজার কমিটির সভাপতির ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়েছে ইয়াবা কারবারিরা। হামলায় বাজার কমিটির সভাপতি আলমগীর ছাড়াও আসিফ নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
অভিযোগে বলা হয়, উখিয়ার পালংখালীর বালুখালী সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আনার সময় চক্রটিকে দেখে ফেলেন আলমগীর। তারপর বালুখালীর শিহালিয়া পাড়ার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ফরিদ আলম ওরফে চিয়ক ফরিদ, বালুখালী জুমেরছড়া এলাকার মৃত ছৈয়দ মোস্তফার ছেলে নুরুল আলম, পশ্চিম বালুখালীর নুরুল আলম প্রকাশ নুরু মাস্টারের ছেলে তারেকুর রহমান, ফরিদ আলমের ছেলে মুফিদুল আলম, মৃত মোহাম্মদ ইউসূফের ছেলে নুর আলম, মৃত মোহাম্মদ ইব্রাহীমের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান, মৃত মৌলভী কবিরের ছেলে মো. নাসিমুল কবির, নুরুল হকের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ ভুলাইয়া ও শিয়ালিয়া পাড়ার আকবর আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সংঘবদ্ধভাবে আলমগীরের ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে এলে আসিফকেও মারধর করে ইয়াবা পাচারকারী চক্রটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, আসামি জসিমের নেতৃত্বে বালুখালী সীমান্ত ঘিরে গঠিত হয়েছে এই ১০ জনের মাদক পাচার সিন্ডিকেট। তারা মূলত মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও আইস বাংলাদেশে নিয়ে এসে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে।
তেমনই এক ইয়াবার চালান প্রবেশের সময় তা দেখে ফেলেন আলমগীর আলম। তারপর সংঘবদ্ধ চক্রটি তার ওপর হামলা চালায়। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ফরিদ আলম ওরফে চিয়ক ফরিদ। তার ভাই জাফর আলম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। তারপর থেকে জাফরের ইয়াবা সাম্রাজ্যের দায়িত্ব নেন চিয়ক ফরিদ। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের কাছ থেকে ইয়াবা এনে বাংলাদেশে বিক্রি করেন চিয়ক ফরিদ। এলাকায় ইয়াবা ডন হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে।
গুরুতর আহত আলমগীরের স্ত্রী রুমা আকতার বলেন, বাজার কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ইয়াবা কারবারিরা আমার স্বামীকে টার্গেট করে। কারণ বাজারের ওপর দিয়ে অবৈধ কোনো কিছু নিতে দেখলে তিনি বাধা দিতেন। একই কারণে মাদক পাচারকারীরা এই সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়েছে। আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, ‘ঘটনার ছায়া তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’