বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনআরবিসি ব্যাংকের সিন্দুকে ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা

  • প্রতিনিধি, বগুড়া   
  • ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৫১

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংকের এই উপশাখায় কোনো ভল্ট নেই। শুধু একটি সিন্দুক রয়েছে। দুর্বৃত্তরা সেটি ভেঙে ৯ লাখ ৭৮ হাজারের কিছু বেশি টাকা নিয়ে গেছে।’

ঋণ আদায়ের জমাকৃত ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা সিন্দুকে রেখে সাপ্তাহিক ছুটিতে গিয়েছিলেন বগুড়া সদরের এনআরবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই সুযোগে সিন্দুক কেটে পুরো টাকাটাই লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকের উপশাখাটিতে কোনোরকম প্রহরী ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখেনি কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে সদর উপজেলার শাখারিয়া পল্লীমঙ্গল হাট এলাকায় এনআরবিসি ব্যাংকের শাখায় এই দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে ওই ভবনের মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেন। ৯৯৯ নম্বেরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ।

ভবনের মালিক ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর ধরে শাখারিয়া পল্লী মঙ্গলহাট এলাকায় একটি দোতলা ভবনের নিচতলায় এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখার কার্যক্রম চলে আসছে। ওই ভবনের নিচতলায় আরও একটি ফ্ল্যাটে এসকেএস এনজিও এবং অপর একটি ফ্ল্যাটে বাড়ির মালিক থাকেন। আর দ্বিতীয় তলায় তিনটি পরিবার থাকে।

বাড়িওয়ালা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘চোরেরা ছাদের ওপর দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেছে। ছাদের দরজার পাশে উপরের দিকে ইট ভেঙেছে তারা। এছাড়া আমাদের বিল্ডিংয়ের মেইন গেটের তালা কেটেছে।

‘ভোর ৪টার পর আমার ঘুম ভেঙে যাওয়ায় বাথরুম থেকে এসে আমি দরজা খুলে বাইরে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু আমি দরজা খুলতে পারছিলাম না। বাইরে থেকে আমার দরজা লাগিয়ে দেয়া ছিলো। এরপর আমি আমার ভাড়াটিয়াকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। তখন তিনি জানান যে তার ঘরের দরজাও বাইরে থেকে আটকানো।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এরপর আমি আমার শ্যালককে ফোন দেই। এই অফিসের এক ব্যক্তি থাকেন এই এলাকাতেই। তাকেও ফোন দই। পরে নাইটগার্ডসহ তিনি এসে আমাদের দরজা খুলে দেন।

‘আমি ঘর বের হই এবং উপরতলা থেকে ভাড়াটিয়ারাও নেমে আসেন। তখন দেখতে পাই ব্যাংকের গেট খোলা। পরে আমরা ব্যাংকের লোকজনকে জানাই। এরপর ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ১০ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে।’

ভবনের মালিক জানান, তার বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল। কিন্তু চোরেরা তার কেটে ফেলেছে।

ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, উপশাখাগুলোতে শুধু ঋণ প্রদান ও আদায়ের কাজ করা হয়। এই শাখায় তিনজন স্টাফ ছিলেন। সাধারণত এ ধরনের শাখার আওতায় সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা থাকে। বৃহস্পতিবার হিসাব ক্লোজ করার পর সেগুলো ব্যাংকে জমা দিয়ে দেন স্টাফরা। কিন্তু ২৫ জানুয়ারি দুটি প্রতিষ্ঠানের ঋণের কিস্তি জমা দিতে দেরি হয়। এজন্য ব্যাংকে জমা দিতে পারিনি। এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলো।

ব্যাংকের ম্যানেজার রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমাদের ক্যাশিয়ার ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পাই যে আমাদের শাখায় চুরি হয়েছে। সকালে এসে দেখি আমাদের ভল্ট যেটা ছিল সেটা ভেঙে সব টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।’

শাখারিয়া এলাকার বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে ব্যাংকের এখানে এসেছি ঘটনা দেখতে। ব্যাংকটি অনেকদিন ধরেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে পল্লীমঙ্গল হাটে। তবে ব্যাংকটিতে কোনো সিসি ক্যামেরা ও প্রহরীর ব্যবস্থা নেই। আমাদের এলাকায় এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা আশা করব দ্রুত এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।’

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘এটি এনআরবিসির একটি উপশাখা। এখানে কোনো ভল্ট নেই। শুধু একটি সিন্দুক রয়েছে। দুর্বৃত্তরা সেটি ভেঙে ৯ লাখ ৭৮ হাজারের কিছু বেশি টাকা নিয়ে গেছে। ৯৯৯-এ একটি কল পেয়ে আমাদের পুলিশ এখানে আসে।

‘এটি একটি ব্যাংকের বিষয়। এখানে অনেক মানুষের আমানত আছে। এজন্য থানা ও ডিবি টিম যৌথভাবে নামানো হয়েছে। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখছি। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর কাছে অনুরোধ করব তারা যেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করে।’

এ বিভাগের আরো খবর