নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসায় গ্যাসের সুয়ারেজ পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাশীল বাঘপাড়া এলাকার একটি টিনশেড বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রহিমা নামের এক নারীর শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাতে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ অন্যান্যরা হলেন- সুখী আক্তার (৩২) তার মেয়ে সাদিয়া (১০), বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১) ও রহিমার মেয়ে ঋতু (১৩)। এছাড়া নবজাতক শিশুটির পায়ে মাথায় আগুনে ছেঁকা পড়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহাম্মেদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, টিনশেড বাড়িটির পাশ দিয়ে গ্যাসের সুয়ারেজ লাইন গেছে। সে লাইনের পাইপ ফাটা ছিল। সেখান থেকে গ্যাস বেড়িয়ে ওই ঘরের টয়লেটের ভেতর দিয়ে রুমে জমাট বাঁধে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে কয়েল জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে এরপর পুরো রুমে আগুন ধরে যায়। তবে আগুন ঘরের বাইরে ছড়ায়নি৷ আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আগুনে দগ্ধ রহিমার স্বামী জাহাঙ্গির হাওলাদার বলেন, বাঘপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িটিতে সুখী বেগম তার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। সুখীর স্বামী নূর মোহাম্মদ এখানে একটি কারখানায় চাকরি করেন। ১৬-১৭ দিন আগে সুখীর মেয়ে একটি সন্তান হয়। সেই সন্তানকে দেখতে রহিমা ও তার মেয়ে সুখীর বাসায় এসেছিলেন। রাতে বাসায় কয়েল ধরাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, রহিমা আক্তারের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। সুখী ও জান্নাতি যথাক্রমে ১৭ শতাংশ ও ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে দগ্ধ হয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তারা অবজারভেশনে আছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক সিদ্দিক বলেন, গ্যাস থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দগ্ধের পরিবার অভিযোগ করলে তদন্ত করে মামলাও নেয়া হবে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তিতাসের একটি টিম এসে লাইন মেরামতে কাজে যোগ দেয়। তবে এ দলের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তিতাসের নারায়ণগঞ্জের উপ মহাব্যবস্থাপক মামুনার রশিদও ফোন ধরেনি।