বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেত্রকোণায় অবরোধ তুললেন চালকরা, টিআই মৃদুল প্রত্যাহার

  • প্রতিনিধি, নেত্রকোণা    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৪:৫৭

জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘টিআই মৃদুল রঞ্জন দাস ও টিএসআই আকবরের বিরুদ্ধে চালক-শ্রমিকদের অসন্তোষসহ বিস্তর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। মৃদুল রঞ্জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবরোধ তুলে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।’

নেত্রকোণা শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন অটো টেম্পু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মিশুক চালকরা। তাদের দাবির মুখে অবশেষে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে জেলা সদরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাসকে।

মঙ্গলবার দুপুরে চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে নেত্রকোণা পৌরসভা কার্যালয়ে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ।

এর আগে, সকাল থেকে অবরোধ শুরু হয় শহরের বিভিন্ন সড়কে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, মামলার নামে হয়রানি ও অশালীন আচরণের প্রতিবাদে অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ চালকরা। অবরোধ চলাকালে বেলা ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া সড়কে সমাবেশ করেন তারা।

জেলা সদরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মৃদুল রঞ্জন দাস এবং সহকারী ইন্সপেক্টর (টিএসআই) আকবর হোসেনকেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি করেন অবরোধকারীরা।

ওই সময় চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা অভিযোগ করেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস যোগ দেয়ার পর থেকে জেলা সদরের বিভিন্ন সড়কে অটো টেম্পু, অটোরিকশা, সিএনজি, ইজিবাইক ও মিশুক চালকদের হয়রানি চলছে। বিভিন্ন অজুহাতে চালকদের কাছ থেকে যখন-তখন টাকা আদায় করা হচ্ছে। এক যানবাহনের নামে সপ্তাহে বা মাসে একাধিক মামলা দেয়া হচ্ছে। গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় সময়ই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও নির্যাতন করছেন।

আগের দিন সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুরপাড় সিএনজি স্ট্যান্ডে কয়েকজন চালকের নামে মামলা করলে টিএসআই আকবরের সঙ্গে চালক-শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এরপর চালক-শ্রমিকরা কুরপাড়ের সড়ক অবরোধ করলে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে দুই পক্ষকে থামান।

ওই ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে অটো টেম্পু, অটোরিকশা, সিএনজি, ইজিবাইক ও মিশুক চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেন চালক-শ্রমিকরা। ওই সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রিকশা চলাচলেও বাধা দেন এবং অনেক রিকশার চাকা ফুটো করে দেন। এর ফলে হেঁটে রাস্তা পাড়ি দিতে বাধ্য হন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা।

পরে বিক্ষুব্ধদের সমাবেশে অটোরিকশা ও সিএনজি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল শেখ, সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাবেক কার্যকরী সভাপতি মোজাম্মেল হক ছাড়াও চালক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

তারা তখন জানান, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চালক-শ্রমিকদের অবস্থা এমনিতেই নাকাল। এর ওপর আবার ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, মামলা ও হয়রানিতে তাদের জীবন এখন অতিষ্ঠ। কাজেই এ পরিস্থিতির অবসান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ পরিস্থিতিতে দুপুর ১২টার দিকে চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে নেত্রকোণা পৌরসভা কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র নজরুল ইসলাম খান, প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন শেখ, সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শিবলী সাদিক, নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুল আলম হীরা ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ খান।

জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘টিআই মৃদুল রঞ্জন দাস ও টিএসআই আকবরের বিরুদ্ধে চালক-শ্রমিকদের অসন্তোষসহ বিস্তর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। মৃদুল রঞ্জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবরোধ তুলে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।’

এ বিভাগের আরো খবর