শেরপুর সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে পাগলা কুকুরের কামড়ে বিভিন্ন বয়সী অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
সদরের গাজীর খামার ও পাশাপাশি নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
কামড়ে আহত ব্যক্তিদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যাদের বেশির ভাগ এরই মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সকালে শেরপুর সদরের গাজীর খামার ও নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকায় কুকুরটি অস্বাভাবিকভাবে দৌড়াতে থাকে। একপর্যায়ে এটি যাদের সামনে পেয়েছে, তাদের কামড়ে দিয়েছে। পরে স্থানীয়দের ধাওয়ায় কুকুরটি পালিয়ে যায়।
কুকুরের কামড়ে আহত একজনের স্বজন হেলাল জানান,তার দাদি বাড়ির বাইরে বের হলে পাগল কুকুর কামড় দেয়।
সোলায়মান নামের একজন জানন, তার বাবা কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে কামড় দিয়েছে কুকুরটি। শুরুতে হাসপাতালে গিয়ে কোনো টিকা পাননি।
রোকেয়া নামের একজন বলেন, ‘আমি বাড়ির বাইরে হাঁটতাছি। তখন কুকুর আইসা কামড় দিছে। হাসপাতালে আইছি, টিকাও নাই। দোহান থাইকা কিন্না নিয়া দেওন লাগতাছে।’
জানতে চাইলে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের হাসপাতালে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। আগামী সপ্তাহে সরবরাহ আসবে।’
তিনি বলেন, ‘চারজন মিলে ৬০০ টাকা করে ভ্যাকসিন কিনে এনেছে। আমরা দিয়ে দিচ্ছি। কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে অনেকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’