বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুনামগঞ্জে শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতে ভিড়

শহরের কোর্ট চত্বরের ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী সাহেদ জানান, তাদের এই ব্যবসা মৌসুমের। মাত্র দুই মাসের ব্যবসা। শীত বাড়ায় বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে পরিবহন ভাড়াসহ খরচও বেড়েছে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো সুনামগঞ্জেও চাহিদা বেড়েছে শীতবস্ত্রের, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে শীতবস্ত্র কিনতে অভিজাত বিপণি বিতানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না কম আয়ের মানুষের। এ কারণে শীতবস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ফুটপাতই ভরসা তাদের।

সুনামগঞ্জ শহরের কোর্ট পয়েন্ট,পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, রায়পাড়া মোড়, আলফাত স্কয়ার, শহীদ মিনার সংলগ্ন ফুটপাত,পুরাতন কোর্ট এলাকাতে ফুটপাতে ও ভ্যানগাড়িতে রাখা শীতবস্ত্র কিনতে দেখা যাচ্ছে ভিড়।

কী বলছেন ক্রেতারা

রায়পাড়া মোড়ে শীতবস্ত্র কিনতে আসা বিশ্বম্ভরপুরের মথুরকান্দির রিকশাচালক আলিম উদ্দিন জানান, হঠাৎ করে শীত বাড়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। তার তিন সন্তানের জন্য কাপড় কিনেছেন। অন্য বছরের তুলনায় এইবার কাপড়ের দাম বেশি। দুই-তিন দিনের আয়ের টাকা জমিয়ে কাপড় কিনেছেন।

আলফাত স্কয়ারে ফুটপাত থেকে কিনতে আসা সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আফতাবনগরের বাসিন্দা মাটিকাটা শ্রমিক রমিজ মিয়া জানান, ফুটপাত থেকে মেয়ের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন। দাম বেশি হওয়ায় ফুটপাতে কাপড় কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

তার ভাষ্য, অন্য বছরগুলোতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেয়েছেন, কিন্তু এবার সংসদ নির্বাচনের মধ্যে কেউ তার কাছে শীতবস্ত্র নিয়ে আসেননি।

কোর্ট পয়েন্টের ফুটপাতে কাপড় কিনতে আসা একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরিজীবী নূরুল আমিন বলেন, ‘মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি। তাই ফুটপাত থেকে কাপড় কিনেছি। যে কাপড় ফুটপাত থেকে ৭০০ টাকায় কিনেছি, সেই কাপড় মার্কেট থেকে কিনতে হতো ২ হাজারে। বাজারে জিনিসপত্র, কাপড়ের দাম শুধু বাড়ছেই, কিন্তু আমাদের আয়-রোজগার বাড়েনি।’

বিক্রেতাদের ভাষ্য

শহরের কোর্ট চত্বরের ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী সাহেদ জানান, তাদের এই ব্যবসা মৌসুমের। মাত্র দুই মাসের ব্যবসা। শীত বাড়ায় বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে পরিবহন ভাড়াসহ খরচও বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী শফিক মিয়া বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে ব্যবসা ভালো। সারা বছর এ শীতের জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। কোর্টের মামলার কাজে আসা গ্রামের মানুষজনই আমাদের মূল কাস্টমার।

‘কোর্ট সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক লস হয়। সপ্তাহে সাত দিন এ রকম কাস্টমার থাকলে আমাদের অনেক লাভ হতো।’

এ বিভাগের আরো খবর