বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলএনজি টার্মিনালে ত্রুটি, দেশে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ২৩:৫৩

পিজিসিবির তথ্যানুযায়ী, শনিবার দুপুরের পর থেকেই সারা দেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গেছে। বেলা ২টার দিকে ৯ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছিল ৮ হাজার ৯২৬ মেগাওয়াট।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এ কারণে শনিবার দেশে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে।

এর আগে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে লোডশেডিং নিয়ে সতর্কতা জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ফেসবুকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মহেশখালীস্থ ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের (FSRU) কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বর্তমানে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অতি দ্রুত সমাধানে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকাতে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। সম্মানিত গ্রাহকদের অনাকাঙ্খিত অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যানুযায়ী, শনিবার দুপুরের পর থেকেই সারা দেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গেছে। বেলা ২টার দিকে ৯ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছিল ৮ হাজার ৯২৬ মেগাওয়াট। এই সময় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন দুই আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কমে ২৯০০ মেগাওয়াটে নেমে যায়।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি এবং মহেশখালীতে বিদ্যমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা গ্রহণ করে থাকে। এর একটি সামিট গ্রুপ ও অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

রক্ষণাবেক্ষণ শেষে আনা মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল সময়মতো চালু করতে না পারায় এবং সামিটের এফএসআরইউ কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের পূর্বাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।

টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ ছয় জেলায় গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় ঘটে। বিতরণ কোম্পানির আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হঠাৎ বিপর্যয়ে রান্না করতে না পেরে খাবারের কষ্টে পড়েন সাধারণ গ্রাহকরা। পাশাপাশি শিল্পকারখানার উৎপাদনও বিঘ্নিত হয়।

অবশ্য ইতোমধ্যে খুব স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু করেছে সামিটের এফএসআরইউ। আরপিজিসিএল-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতার বিপরীতে বর্তমানে ১৩০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর