দেশের যেসব জেলায় দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নেমে যাবে, সেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে বলে নির্দেশনা আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে। তবে দিনাজপুরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা মানছে না।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বৃহস্পতিবার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারিও এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের ইকবাল হাইস্কুলসহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের চিত্র দেখা যায়।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও সকাল থেকে রোদের দেখা মিলছে। মিলেছে একটু স্বস্তি।
তবে গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে ফসলের ক্ষেতে। কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে আলুর ক্ষেত ও ধানের চারা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে এই জেলার ওপরে দুটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেছে। দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। এ ধরনের আবহাওয়া আগামী কয়েক দিন থাকতে পারে।