বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্বাদশ নির্বাচন গণতান্ত্রিক অবনমনের অভিজ্ঞতার টেস্ট কেস: টিআইবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৫৬

গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে টিআইবি বলেছে, ‘প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিসহ এই নির্বাচনের সার্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে এটা সাংঘর্ষিক।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ অ্যাখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। নির্বাচন ‘অবাধ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক’ হয়নি মন্তব্য করে সংস্থাটি বলেছে, ‘প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিসহ এই নির্বাচনের সার্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নের সঙ্গে এটা সাংঘর্ষিক।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে টিআইবি।

নির্বাচন ঘিরে ২০২৩ সালের জুন থেকে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে টিআইবি। দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫০টি নির্বাচনি আসন বাছাই করে প্রত্যেক আসনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ওপর তথ্য সংগ্রহ এবং সরাসরি পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলেছে, ‘এই নির্বাচনের ফলে গণতান্ত্রিক অবনমনের অভিজ্ঞতা এবং নির্বাচনি কৌশল ও অভিনবত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেস্ট কেস হিসেবে বিবেচিত হবে।’

টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়া হলেও ৩০০ আসনের ২৪১টিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হয়নি।

‘নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।’

লিখিত বক্তব্যে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতা অব্যাহত থাকার কৌশল বাস্তবায়নে একতরফা নির্বাচন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের আইনগত বৈধতা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ হয়তো হবে না; তবে এ সাফল্য রাজনৈতিক শুদ্ধাচার, গণতান্ত্রিক ও নৈতিকতার মানদণ্ডে চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।’

‘নির্বাচনে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের যে পূর্বশর্ত থাকে, তা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিপালিত হয়নি।’

নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানের কারণে অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন হয়নি বলেও মনে করে টিআইবি৷

সংস্থাটির মতে, ‘বিপরীতমুখী ও অনড় অবস্থানকেন্দ্রিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লড়াইয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জিম্মি দশা প্রকটতর হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্যতম অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, ‘অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসন অনুরূপভাবে একই এজেন্ডার সহায়ক ভূমিকায় ব্যবহৃত হয়েছে।’

টিআইবির দৃষ্টিতে, ‘সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের সম্ভাব্য সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে যতটুকু আগ্রহ থাকবে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হবে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতার মানদণ্ডে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন এবং তার প্রভাব। দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনি ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ক্রমাগত গভীরতর হবে।’

অনুষ্ঠানে টিআইবির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা দলের সদস্য মাহফুজুল হক, নেওয়াজুল মওলা ও সাজেদুল ইসলাম।

টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও পরিচালক (গবেষণা) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর