বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের ‘গ’-ও বোঝেন না: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া   
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ২১:০৯

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের কোনো ছাড় নেই। যারা এ ধরনের কাজগুলো করেছে তাদের খুঁজে বের করে এনে বিচার করবো। ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোট চুরির অপরাধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হন। সেই দল এখন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে, যারা গণতন্ত্রের ‘গ’-ও বোঝে না। তিনি (খালেদা জিয়া) গণতন্ত্র বানান করতেও পারবেন না।’

রোববার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘গত নির্বাচনে অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ছিল। কোনোমতেই যেন নির্বাচন হতে না পারে এটাই ছিল আসল চক্রান্ত। অথচ একটা গণতান্ত্রিক সরকার ও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় না থাকলে কোনো দেশের উন্নতি হয় না। এটা আমাদের দেশের জন্য প্রমাণিত সত্য।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন ক্ষমতায় থেকে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে রেখে যান একটি স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে। এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছিল- প্রথমে ২১ বছর, পরে প্রায় ৮ বছর। তারা দেশের কোনো উন্নতি করেনি। দেশের উন্নতি তখনই হয়েছে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।’

কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে রোববার আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতাকর্মী-জনতার একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন হলো মানুষ পুড়িয়ে মারা। তারা জানে জ্বালাও-পোড়াও। জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, রেলে আগুন- ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যা করেছে এখন আবার তা শুরু করেছে।

‘নির্বাচন ঠেকাও আন্দোলন করতে গিয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-সন্তানকে পুড়েয়ে মেরেছে। এই দৃশ্য কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। যে কারণে তারা যতই চিৎকার করুক তাদের কথায় জনগণ সাড়া দেয়নি। তাদের আন্দোলনের ডাকে মানুষ যেমন আসেনি তেমনি নির্বাচন বর্জনের আহ্বানেও সাড়া দেয়নি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। যারা এ ধরনের কাজগুলো করেছে তাদের খুঁজে বের করে এনে বিচার করবো।

‘ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর যারা হুকুমদাতা, যারা জ্বালাও-পোড়াও করার জন্য হুকুম দিয়েছে তাদেরকেও আমরা গ্রেপ্তার করছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ যেন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা বা এ ধরনের জঘন্য কাজ করার সাহস না পায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ষড়যন্ত্র চক্রান্ত কখনও শেষ হয় না। এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

কোটালীপাড়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শক্ত একটা ঘাঁটি আছে বলেই আমি যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারি। সেই শক্তি আপনারা দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ার মানুষ আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের মানুষ আমার বড় শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ষড়যন্ত্র ভেদ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সবাই আমরা একসঙ্গে কাজ করে এই বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, স্মার্ট বাংলাদেশ করবো ইনশাআল্লাহ।

‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয় গণতন্ত্রের জয়, এই জয় বাংলাদেশের জনগণের জয়। কাজেই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, ব্রিজ যেগুলো বাকি আছে আমরা সেগুলো করবো। আমরা দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব। দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষ শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে। আমার গ্রাম আমার শহর- সেভাবেই আমরা প্রতিটি গ্রামকে গড়ে তুলব, যেন কোনো মানুষের কষ্ট না হয়।’

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশেও জিনিসের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশের মানুষের খাবারের যেন কোনো অভাব না হয় সেটি আমাদের নিজেদের করতে হবে।

‘আমাদের দেশের মাটি উর্বর। আমাদের মানুষ আছে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। জমি চাষ করা থেকে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালনের মধ্য দিয়ে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর