দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নানা অনিয়ম ও সহিংসতার অভিযোগে ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। স্থগিত ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দাদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিউজবাংলাকে এ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ওই তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হবে। কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
এর আগে, রোববার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে বিকেল পৌনে চারটার দিকে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ৪০ নম্বর ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি দখল ও ভাঙচুর করে ছয়টি ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই আসনে নৌকা এগিয়ে থাকলেও একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল হওয়ায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে ভোটের পার্থক্য এক হাজারেরও কম থাকায় এ আসনের ফলাফল স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
ওই একটি কেন্দ্র ছাড়া সব মিলিয়ে এ আসনে নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। ফলে ৯৮৫ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে নৌকা। স্থগিত ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩০৩২ জন।
এদিকে ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। নৌকার প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন চারটি আসনে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় পাওয়া জেলার দুটি আসনেই হেরেছে জাতীয় পার্টি।
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে নৌকা নিয়ে মোহিত উর রহমান শান্ত, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে আব্দুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে এবিএম আনিসুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ও ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ নির্বাচিত হয়েছেন।