দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পটুয়াখালী সদরে ভোটকেন্দ্রের বাইরে লাঙ্গলের প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ লাঙ্গলের প্রার্থীর সমর্থকের।
হামলায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের এপিএস সোহেলসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে সোহেলকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা।
আহত সোহেল বলেন, ‘আমার প্রার্থী রুহুল আমিন হাওলাদার গাড়ি নিয়ে ওই ভোটকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেনের ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে গাড়ির ওপর হামলা করতে তেড়ে আসে। এ সময় আমিসহ আমার অন্যান্য কর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে সামনে এগিয়ে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
ঘটনা সম্পর্কে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দিনভর সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আফজালের ভাই কামাল আমার সহকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে গোটা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কামাল এ কাজটি করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। পাশাপাশি আফজালেরও বিচার চাই।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন জানান, দুই পক্ষের স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. জসিম বলেন, ‘ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল টিম নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’