বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারা চায় না বলেই সন্ত্রাস নৈরাজ্য করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলটির উত্থান সন্ত্রাসের মাধ্যমে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির ভোটের পক্ষে থাকার কথা নয়।
রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রোববার সকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনেক সংগ্রাম করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হয়েছে। অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যেও ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে যা যা করণীয় তা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, এটাই বড় কথা।
জনগণের কাছে বিএনপির গ্রহণ যোগ্যতা নেই দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না। বিপরীতে জনগণ আওয়ামী লীগের পাশে আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াতের হরতাল তাল হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের ভোট কেড়ে নেয়াই তাদের চরিত্র। জনগণই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম উল্লেখ করে দলটির সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, নৌকার জয় হবে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজ ঘরে ক্ষমতার জন্য যারা সন্ত্রাস করে তারা জনগণের রাজনীতি করে না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলে, সামনে আরও কাজ আছে, আশা করছি নৌকার জয়লাভ হবে। গত মেয়াদে আমরা সরকার গঠন করে যে উন্নয়নের ধারা শুরু করেছি, তা অব্যাহত থাকবে।
সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই ভোটের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি, অনেক কিছু বোমা, গ্রেনেড হামলা মোকাবিলা করেছি। আশা করছি নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হবে। সবাই এসে সুষ্ঠুভাবে ভোট দেবেন। আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আপনার ভোট অনেক মূল্যবান। আপনাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক জেল-জুলুম সহ্য করেছি। সুষ্ঠু-নির্বাচনে জনগণের সহযোগিতা চাই।