কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনি এজেন্টসহ ৪০ নির্বাচনি এজেন্টের নামে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়িতে হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনতাকিম আশরাফ টিটু।
শনিবার বিকেলে চান্দিনার কেরনখালের নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে টিটু বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর এই আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্তের নেতা-কর্মীরা আমার আমার সমর্থক ও তাদের বাড়িঘরে প্রায় ৪০টি হামলার ঘটনা ঘটায়। এতে আমার প্রায় ৭০ জন কর্মী গুরুতর আহত হন। অথচ হামলা করার পর তারা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করে। সবশেষ, শুক্রবার রাতে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা হয়। এসব মামলায় আমার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট কাজী ইয়াছিন আহম্মেদ অভিসহ ৪০ এজেন্টসহ মোট ৭০জনকে আসামি করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া আমার নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নির্বাচনি কার্যালয়সহ আমার সমর্থক বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ভোটের আগে তাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রায় ৩০টি অভিযোগ জমা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন এ প্রার্থী। ভোটের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তার প্রাণ গোপাল আমার কাছে পরাজিত হওয়ার ভয়ে এলাকায় হামলা, মামলা করে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে পুনরায় জয়লাভের চেষ্টা করছেন।’
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ওসি আহম্মেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় কে এজেন্ট- আমরা তো আর তাদের চিনি না।’