বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোট থেকে সরে গেলেন তৃণমূল বিএনপির তিন প্রার্থী

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও মেহেরপুর   
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ২২:৪৬

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোট কিনতে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগে আবদুল মালেক ফরাজী এবং দলের অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, দুর্বল নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার অভিযোগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম টুকন। নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি দলীয় নেতাদের অসহযোগিতামূলক আচরণ আচরণকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন আব্দুল গণি। এ ছাড়া নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি দলীয় নেতাদের অসহযোগিতামূলক আচরকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন আব্দুল গণি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ভোট থেকে সরে দাাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির তিন প্রার্থী। তারা হলেন- ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের আবদুল মালেক ফরাজী, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম টুকন এবং মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোট কিনতে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগে আবদুল মালেক ফরাজী এবং দলের অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, দুর্বল নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার অভিযোগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম টুকন। নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি দলীয় নেতাদের অসহযোগিতামূলক আচরণ আচরণকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন আব্দুল গণি। এ ছাড়া নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি দলীয় নেতাদের অসহযোগিতামূলক আচরকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন আব্দুল গণি।

তিনজনই তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে ছিলেন।

শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন আবদুল মালেক ফরাজী।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ত্রিশালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান নির্বাচনে বেঁধে দেয়া পরিমাণের চেয়ে বহুগুণ বেশি টাকা খরচ করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনি খরচ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এ দুই প্রার্থীর পোস্টার বাবদই খরচ ন্যূনতম ১২ লাখ টাকা করে। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য প্রতিদিনের নির্বাচনি খরচ হিসেবে তারা দিচ্ছেন ৩০ হাজার করে টাকা এবং প্রতিদিন ৫০০ প্যাকেট করে বিরিয়ানি। সব মিলিয়ে এ দুই প্রার্থী নির্বাচনে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কালোটাকা ছড়ানোর কারণে ভোটাররা চাইলেও আমাকে ভোট দিতে পারবেন না। কাজেই আমি এ নির্বাচন প্রত্যাহার করলাম। যদিও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের সুযোগ নেই। তবু আমি ঘোষণা দিয়ে এ নির্বাচন বর্জন করলাম। পাশাপাশি আমার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চাইলাম।’

এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মালেক ফরাজী বলেন, ‘অভিযোগ করে কোনো লাভ হতো না। তাই কোনো অভিযোগ করিনি’

ময়মনসিংহ-৭ আসনে আবদুল মালেক ছাড়াও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. আবদুল মজিদ (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র এবিএম আনিছুজ্জামান (ট্রাক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯০ হাজার ৫৫৬ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৮৪ হাজার ৪৩৮ জন। রাত পোহালেই মোট ১২০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

অন্যদিকে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার সাতপোয়া গ্রামের নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাইফুল ইসলাম টুকন।

লিখিত বক্তব্যে তৃণমূল বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও উপদেষ্টাবিহীন নামধারী সংগঠন তৃণমূল বিএনপি। আমার মতো সংগঠকের জন্য এ সংগঠন নয়। নির্বাচনে করে সারা দেশের প্রার্থীদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের নামের প্রচারই এ দলের উদ্দেশ্য। দলের মহাসচিবের নির্বাচনি ক্যাম্প থেকে প্রতিপক্ষরা চেয়ার নিয়ে যাওয়ার ঘটনারও প্রতিবাদ জানাতে অক্ষম দলটি। সঠিক নেতৃত্বের জন্য এ সংগঠন নয়, তাই তৃণমূল বিএনপি থেকে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম।’

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ব্যবসায়ী জাভেদ ওয়ারেছ সোহেল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ টুকনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম টুকন উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। একসময় বিএনপির ডাকসাইটে নেতা ছিলেন তিনি। প্রতীক বরাদ্দের পর শুরুতে তিনি পোস্টার, মাইকিং ও গণসংযোগ করলেও কেন্দ্রের অসহযোগিতা অভিযোগ এনে এ নিয়ে চরম অসন্তোষে ভুগছিলেন তিনি।

এ ছাড়া শনিবার দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের কাছে নিজের নাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠির পাঠিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস‍্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘তৃণমূল বিএনপির ডাকে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। আশা করেছিলাম, দল সাবেক সংসদ সদস্যদেরকে মূল্যায়ন করবে এবং নির্বাচনে সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা প্রদান করবে। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমাদানের পর থেকে দলের সভাপতি শমশের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার আমিসহ অন্যান্যদের প্রার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ শুরু করেন। তারা দলীয় ফান্ড ও অন্যান্য জায়গা থেকে সংগৃহীত অর্থ প্রার্থীদের মধ্যে অল্প পরিমাণে বিতরণ করে সিংহভাগ অর্থ নিয়ে নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

‘অন্যদিকে আমিসহ অন্যান্যরা অর্থের অভাবে নির্বাচনি প্রচার চালাতে ব্যর্থ হচ্ছি। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আর্থিক লড়াইয়ে আমরা অসহায় বোধ করছি।’

চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে আমার কর্মীরা পরামর্শ দেন যে, অন্যান্য প্রার্থীদের মতো সমপরিমাণ অর্থ যদি ব্যয় করতে না পারি, তাহলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ভালো। তাদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে, বাস্তবতার নিরিখে নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ না থাকায়, কালো টাকার ছড়াছড়ি এবং আমার দলীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

মনোনয়ন প্রত‍্যাহারের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, ‘আসলে কোনো প্রার্থী হুট করে বললেই তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। প্রার্থিতা প্রত‍্যাহারেরও একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ইতোমধ্যে ওই প্রার্থীর নাম ব‍্যালটে ছাপা হয়ে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর