বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অগ্নি-সন্ত্রাসের দায় অন্যত্র চাপানোর চেষ্টাকারীরাও সমান অপরাধী: আওয়ামী লীগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ২০:৩৫

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নাশকতা করছে, মানুষকে হত্যা করছে। আবার তাদেরই পার্টনার ইন ক্রাইম একদল মানুষ এক্স, ফেসবুক ও টেলিভিশন টকশোতে এবং অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অসত্যভাবে অপপ্রচার করে সব দোষ সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা মানুষের মনে সন্দেহ তৈরির চেষ্টা করছে।’

টক-শো কিংবা সামাজিক মাধ্যমে ইনিয়ে-বিনিয়ে জামায়াত-বিএনপির অগ্নি-সন্ত্রাসের দায় যারা অন্য কোথাও চাপাচ্ছেন তারাও সমঅপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘একদল রাজনীতিবিদ ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে, অগ্নি-সন্ত্রাস করছে। সুশীল সমাজের একাংশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজববাজ অপপ্রচারকারীরা মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরির জন্য তা ভিন্ন খাতে দেখানোর চেষ্টা করছে। এরাও সমান অপরাধে অপরাধী।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে, দেখা যাচ্ছে হয় সে স্বেচ্ছাসেবক দলের, না হয় ছাত্রদল, যুবদল বা বিএনপির কোনো না কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী। তারা অনেকেই ধরা পড়ার পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিচ্ছে।’

আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচনবিমুখ চিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রের ধারার বাইরে গিয়ে তারা আবারও ২০১৪-১৫ সালের মতো পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) যশোর থেকে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে মা ও শিশু সন্তানসহ চারটি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেছে। আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি, যাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গতকাল (শুক্রবার) ও আজ (শনিবার) বিএনপি-জামায়াত দেশে ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্র আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। রাজবাড়ীর একটি স্কুলে পাহারায় থাকা গ্রাম-পুলিশের এক সদস্যকেও তারা হত্যা করেছে। রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ডেমরা ও কুমিল্লায় দুটি বাসে আগুন দিয়েছে তারা। ভোলাতে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে। এ চিত্র শুধু গত দুদিনের। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস বিএনপির ডিএনএতেই আছে।’

আরাফাত বলেন, ‘পরিতাপের বিষয় হলো, এই নাশকতা তারা করছে এবং মানুষকে হত্যা করছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তাদেরই পার্টনার ইন ক্রাইম একদল মানুষ তারা এক্স, ফেসবুক ও টেলিভিশন টকশোতে এবং অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অসত্যভাবে অপপ্রচার করে সব দোষ সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। তারা মানুষের মনে সন্দেহ তৈরির চেষ্টা করে। এরাও জামায়াত-বিএনপির মতোই অপরাধী।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে ডিজি হেলথের কাছে লেখা হয়েছিল হাসপাতালগুলো বিশেষভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্য। বিএনপির যখনই কোনো কর্মসূচি হয়, এর আগের দিন রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় নাশকতার এসব ঘটনা।

‘পুলিশ সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে মাথায় রাখে আহতদের তাড়াতাড়ি যেন স্বাস্থ্যসেবাটা দেয়া যায়। সেই চিঠিকে তারা সামনে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছে যে, পুলিশ আগে থেকে কিভাবে জানল? আমরা তো বলি, এটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। আজ হরতাল দিয়েছে বিএনপি, রাত থেকেই অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু হয়ে যাবে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে। তারা বলছে, মানুষ যেন ভোট দিতে না যায়। এখন তারা ভোট বর্জন করছে, তাদের যদি সে আস্থা থাকে মানুষ ভোট দেবে না, তাদের তো লিফলেট বিতরণের প্রয়োজন নেই। ভোটের দিন হরতাল দেয়ার প্রয়োজন নেই। মানুষ তো এমনিই ভোট বর্জন করবে, তাদের কথা অনুযায়ী। তার মানে তারা নিজেরাও বিশ্বাস করে না যে মানুষ ভোট বর্জন করবে।’

এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর