দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে ভোটগ্রহণের আগের দিন শনিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় আহমেদ রিয়াজ বলেন, ‘আগামীকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাতে আমি জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সরকারি দলের বর্তমান এমপি পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। প্রশাসনের ওপর আমার কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। বড়লেখা-জুড়ী দুটি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি।
‘একজন মন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচন করতে গিয়ে বেলা শেষে বুঝতে পারলাম এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। কারণ রিটার্নিং কর্মকর্তা, থানা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কেউই একজন রানিং মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনি জনসভায় যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন এবং আমাকে ভালোবেসে যারা ভোট কেন্দ্রে আসবেন তাদের ভোট রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তা আজ মনে হচ্ছে আমি রাখতে পারবো না। আমার এজেন্ট ও সমর্থকদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমি চাই না তারা মামলার শিকার হোক। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই নির্বাচন থেকে আজ সরে গেলাম।’
লাঙ্গলের এই প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমি কেন বার বার কাউকে মন্ত্রী বানাতে সিঁড়ি হবো? নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করে দিলাম আমাকে কেউ টাকা দিয়ে ডামি প্রার্থী করতে পারে না। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি লাঙ্গল মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে আসবেন না। আমি এমপি হওয়ার চেয়ে মনে করি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসুক।’
কারও পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে আহমেদ রিয়াজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ দেয়া হয়নি। বরং মন্ত্রী (আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন) ও তার পরিবারের এত সমালোচনা করেছি, কিন্তু বিন্দু পরিমাণ আমাকে কোনো ধরনের কাউন্টার দেয়া হয়নি।
‘এমনকি প্রশাসনের ওপর আমার কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। বড়লেখা-জুড়ী উপজেলার পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবসময় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার- সবাই যোগাযোগ করেছেন।’