আগুন সন্ত্রাস করে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেসব নেতা এসব ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজের নির্দেশদাতা, তারাও সমান অপরাধে অপরাধী।
তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি হচ্ছে, ভদ্রবেশী সুবেশধারী এসব নেতার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার। যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আমাদের প্রধান কিছু কাজের মধ্যে অন্যতম প্রধান হবে আগুন সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা। একটি সভ্য দেশে এসব চলতে দেয়া যায় না।’
চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সে জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, সার্কভুক্ত এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো থেকে শুরু করে অনেক দেশ ও সংস্থা নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যাপক হারে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে।
‘আশা করছি আগামীকাল (রোববার) দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।’
ওই সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
যারা সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রলবোমা মারছে তাদের নির্মূল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, এদের ব্যাপারে আশা করি আন্তর্জাতিক মহল মুখ খুলবে এবং এই দুষ্কৃতকারীদের নিবৃত্ত ও নির্মূল করার ক্ষেত্রে তারাও সহযোগিতা করবে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগিতে বিএনপি-জামাতের দুষ্কৃতকারীরা আগুন দিয়েছে। যেভাবে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে, এতে এ পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল, ঠিক একইভাবে বর্বরোচিত হামলা তারা গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে।’
ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনার পর বিএনপি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে অস্বীকার করা বিএনপির অভ্যাস। ইতোপূর্বেও একই এলাকায় ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মা ও শিশুসহ চারজন একসাথে মৃত্যুবরণ করেছে।
‘ওই এলাকায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস সাহেবের বাড়ি। এর আগের ঘটনা কার নির্দেশে, কারা করেছে, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।’