কক্সবাজারের চকরিয়ায় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে পাহাড়ের মাটি বিক্রি এবং মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় জুলাই যোদ্ধা মোহাম্মদ হাসান (২৩)-এর ওপর হামলা চালিয়েছে দূবৃত্তরা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর কাকারা ইউনিয়নের মাঝের ফাঁড়ি ব্রিজসংলগ্ন এলাকার অবৈধ বালুর পয়েন্টে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ হাসান গত বছরের ১৮ জুলাই চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
তার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের গেজেট নম্বর-৫৮। হামলায় আহত হাসান সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুরাজপুর গ্রামের নুরুল আলমের পুত্র।
এদিকে এই হামলার ঘটনায় জড়িত পাহাড় ও বালু খেকোচক্রের সবাইকে গ্রেপ্তার এবং পাহাড় কাটারোধ, মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়াসহ পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আহত জুলাই যোদ্ধা মোহাম্মদ হাসান বলেন, সুরাজপুর-মানিকপুর এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বনের গাছপালা উজাড়, পাহাড় সাবাড় করে মাটি বিক্রি এবং মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন সানাউল্লাহ, মোহাম্মদ সাদু, মো. হুবাইব, মোহাম্মদ মোস্তফা, মোহাম্মদ জমিরসহ একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। পরিবেশবিধ্বংসী এই কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে গেলে তাদের নেতৃত্বে আমার ওপর দলবদ্ধ হামলা করা হয়। এ সময় তাকে বিভিন্ন বস্তু দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চকরিয়া উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি মোবারক হোসেন জিহান, শামসুল আলম সাঈদী, সায়েদ হাসান।
তারা বলেন, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে যারা পাহাড় সাবাড় করছে এবং মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন; এ ঘটনায় একটা অভিযোগ হাতে পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।