বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সমালোচনাকারীরা সঠিক তথ্য তুলে ধরেন না’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ২১:১৪

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সমালোচনাকারীদের চরিত্র। মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়েন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা সমালোচনা করেন তারা সঠিক তথ্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেন না। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র। মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভাষণে গত ১৫ বছরে দেশের উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সবিস্তারে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি উল্লেখ করেন, এই সময়ে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি; বাজেটের আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি; বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৩ গুণ বৃদ্ধি ও জিডিপির আকার ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি; রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি; বার্ষিক রেমিটেন্স ৬ গুণ বৃদ্ধি; বৈদেশিক বিনিয়োগ এফডিআই ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

একজন কৃষি-শ্রমিকের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে ৩ গুণ। শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৯ গুণ। দারিদ্র্য হার ৪১ দশমিক ৫১ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে কমে এসেছে। অতিদারিদ্র্য হার কমেছে ৫ গুণ।

সরকার প্রধান বলেন, ১৫ বছরে সুপেয় পানি ৫৫ শতাংশ থেকে ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ৪৩ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি, শিশু মৃত্যুহার হাজারে ৮৪ থেকে কমে ২১ জন, মাতৃ মৃত্যুহার প্রতি লাখে ৩৬০ জন থেকে কমে ১৫৬ জন এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ দশমিক ৮ বছর।

বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগের হার ২৮ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি, সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি, কারিগরি শিক্ষা ২২ গুণ বৃদ্ধি এবং দানাদার শস্য উৎপাদন ৪ গুণ বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু করেছি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। পাতাল রেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছি। রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। উদ্বোধন করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।

চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পাতাল সড়কপথ ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণ করেছি। কক্সবাজারে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন স্থাপন করে ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুট চালু করেছি। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু-কন্যা জানান, ২০০৯ সালে জিডিপির পরিমাণ ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ২২ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ ছিল; যা মোট ঋণের ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ; যা মোট প্রদত্ত ঋণের ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।

সমালোচনাকারীরা সঠিক তথ্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেন না উল্লেখ করে ক্ষেদ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

এ বিভাগের আরো খবর