বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামালপুরে ঈগলের কেন্দ্রে ভাঙচুর, লাঠিচার্জে ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকসহ আহত ২৫

  • প্রতিনিধি, জামালপুর   
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:১৩

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, মহেশপুর কালিবাড়ীতে তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা শুনে পরিদর্শন করেছি। মোটরসাইকেল তিনটি কার আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জামালপুর-৫ সদর আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিনটি নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন।

বুধবার রাতে সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা পূর্ব বাজারের গোলাম আলী মার্কেট, খড়খড়িয়া ও মহেশপুর কালিবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঈগলের প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু নৌকার সমর্থকরাও করেছেন একই অভিযোগ।

ঈগলের সমর্থকরা জানান, রাত ৮টার দিকে গোলাম আলী মার্কেটে ও খড়খড়িয়া এলাকায় তাদের দুটি প্রচার কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এরপর কালিবাড়ীতে আরও একটি প্রচার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন নৌকার সমর্থকরা।

তারা জানান, হামলায় মহেশপুর এলাকার ঈগল প্রতীকের সমর্থক ৬৫ বছর বয়সী মো. খোকা, ৫৫ বছরের মো. দুদু, ৩৫ বছরের মো. শফিকসহ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঈগলের সমর্থকরা প্রায় দুই ঘণ্টা জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে থাকেন।

ঈগলের সমর্থকরা জানান, বক্তব্যের সময়ই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান ফকির। এ ছাড়াও চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাম্যান বেলাল হোসেন শান্ত, এনটিভি ও খবরের কাগজের সাংবাদিক আসমাউল আসিফ, শ্রমিক বার্তার আশিক মাহমুদ, দেশ সংবাদের সালাউদ্দিন মিঠু, বিজয় বাংলাদেশের নিপুন জাকারিয়াসহ ৫ জন সাংবাদিক ও অন্তত ১০ জন ঈগলের সমর্থক পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন।

এদের মধ্যে চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাম্যান বেলাল হোসেন শান্ত ও শ্রমিক বার্তার আশিক মাহমুদসহ কয়েকজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু বলেন, জামালপুর সদরে লেভেল প্লেইং ফিল্ড অনুপস্থিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকার প্রার্থী যে সুবিধা পাবেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও সেই সুবিধা পাবেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছি।

তিনি দাবি করেন, নৌকার সমর্থকরা তার তিনটি নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে, তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ভোটারদের সশ্রস্ত্র অবস্থায় আক্রমণ করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আমি যখন অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য ভূমিকা নিই তখন হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা হঠাৎ করে জনগণের ওপর আক্রমণ করে। আমার সামনে ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিকদের আঘাত করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনি প্রচারণার জেলা সমন্বয়কারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক লুৎফুর কবীর বাবুর নেতৃত্বে আমাদের নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হামলায় আমাদের শ্যামল, সীমান্ত, সিফাত, পুলক ও আলী নামে পাঁচজন কর্মী আহত হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, মহেশপুর কালিবাড়ীতে তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা শুনে পরিদর্শন করেছি। মোটরসাইকেল তিনটি কার আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর