মেহেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাবলু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
বছরের প্রথম দিন সোমবার জেলার সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে এক নির্বাচনি জনসভায় বাবলু এ হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিষয়টি পরে জানাজানি হয়।
বাবলুর বক্তব্য নিয়ে মেহেরপুরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ওই দিন তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ওই বাউন্ডারির ভিতরে লোক থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভোট পোল করা হবে। যখন দেখব আর শেষ না হলে কুড়ি নি গি (কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে) ওই বাউন্ডারির ঢুকাইয়া দিয়ে ভোট পোল করে নেব।
‘আমার কথা পিরোজপুর চারটি সেন্টারে আমি যেন দেখতে না পাই কোনো এজেন্ট আছে ওই চাপা দেয়া (ট্রাক) প্রতীকের।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কিসের ভয় দেখায় আমি তো বুঝতে পারি না। আমার চেয়ে মস্তান বেশি আছে কেউ? আমার চেয়ে যন্ত্রপাতি কারও বেশি আছে? আমার চেয়ে কি টাকা তাদের বেশি আছে? তাহলে ভয় কিসের দেখায়?
‘যারা আমার কাছে কাজ করে খেত কদিন আগে, তারা ভয় দেখায় কীসের। জমি তিন বিঘা কেইড়ি নেব। কেইড়ি নিলি পরে ভয় দেখানো বুঝি যাবে। সেই কাজটি কইরবই এইবার। আপনারা নৌকা মার্কা প্রতীকে ফরহাদ হোসেনকে ভোট দেবেন। জননেত্রীকে ভোট দেবেন। এখন তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননেত্রী।’
বাবলু বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের জেলার কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী সেখানে যাবে না কোনোদিন। তার ডান দিকে বা বাম দিকে বসেও থাকবে না। আমাদের এমপি নেত্রীর সাথে বসে থাকবে এবং এইবার এই দেশের মিনিস্টার হবে। আপনারা ঠান্ডার মধ্যে বসে আছেন। যে কাজ করার দরকার, তা আমি সময়মতো করব।’
এমন মন্তব্য করায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘এভাবে জনসভায় যদি প্রার্থীদের এজেন্ট প্রবেশ করতে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়, তাহলে সাধারণ ভোটারদের মনে শঙ্কা তৈরি হবে; ভোট দিতে আসতে অনাগ্রহ দেখাবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘বিশেষ করে নৌকার নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে এভাবে বক্তব্য দেয়ার কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’