প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ড. আব্দুল মঈন খান। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, ‘এবার এমন হবে না যে তারা ভুয়া নির্বাচন করে ফের পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নির্বাচন বয়কটের আহ্বান সংবলিত লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
‘জনগণ আমাকে জিজ্ঞেস করে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা কী করব? আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকারকে বুঝতে হবে যে ২০২৪ আর ২০১৪ এক নয়। এবার এমন হবে না যে, তারা (সরকার) ভুয়া ও বিদ্বেষমূলক নির্বাচন করে আবারও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।
‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে। বিএনপি রাজপথে বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড মোকাবিলা করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘প্রার্থীরা যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সেদিনই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে কোন আসনে এমপি হবেন তা সরকার এরই মধ্যে ঠিক করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভুয়া নির্বাচনের ভুয়া ফলাফল নিয়ে একদলীয় সংসদ ও সরকার গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
‘নির্বাচনের নামে তারা প্রহসন ও নাটক করছে। দেশের বাইরের সব নামকরা গণমাধ্যম একবাক্যে বলছে, বাংলাদেশে যে নির্বাচন হচ্ছে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ বর্তমান সরকার এর মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়।’
মঈন খান বলেন, বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চায়।
‘বিএনপি লগি-বৈঠা দিয়ে সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা কখনোই সংঘাতের রাজনীতি এবং অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশে পরিবর্তন আনুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুক।’