পোস্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।
আবদুল হাই প্রিন্সের ২৭ ডিসেম্বর করা অভিযোগ এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নোটিশ দেয়া হয়।
বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর স্বাক্ষর করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সৈয়দ সায়েদুল হক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। গত ২৭ ডিসেম্বর তারিখে জনৈক আবদুল হাই প্রিন্স নিজেকে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থক দাবি করে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিলিকৃত পোস্টারে আইন বিরুদ্ধভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার উক্ত অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে নমুনা পোস্টারসহ ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন।
‘নমুনা পোস্টার পর্যালোচনা করে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি ২০০৮-এর বিধি ৭ মোতাবেক প্রার্থীর ব্যানার ও পোস্টারে নিজের ছবি, প্রতীক এবং দলীয় প্রার্থী হলে একই সাথে দলপ্রধানের ছবির বাইরে আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না মর্মে বিধান থাকলেও আপনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহারে করে উল্লেখিত বিধি লঙ্ঘন করেছেন।’
ব্যারিস্টার সুমনকে মঙ্গলবারের মধ্যে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ সদর আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে লিখিত ব্যাখ্যা জমার নির্দেশ দেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সবুজ পাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন সুমন।