নতুন বছর উদযাপনের রাতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বলেছে, দুই কারণে বিগত পাঁচ বছরে দেশে ২৮০টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
থার্টি ফার্স্ট নাইটকে সামনে রেখে রোববার অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হিসাব তুলে ধরা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদারের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি না ফোটানোর এবং ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।’
বিজ্ঞপ্তিতে আতশবাজি ও ফানুসের কারণে বিগত বছরগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, ‘ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, ২০২২ সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রায় ১০০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যাতে আনুমানিক ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো থেকে ২০২১ সালে ১৬টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ ৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয় এবং আতশবাজির উচ্চশব্দে তানজিম উমায়ের ওরফে মাহমুদুল হাসান নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
‘২০২০ সালে ৫০টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৭২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৫৬ লাখ ৬ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এসব অগ্নিকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে ফায়ার সার্ভিস ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদ উদ্ধার করে।’
আতশবাজি ও ফানুসের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সচেতনতা কার্যক্রম নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ হতে ইতোমধ্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপস শেয়ার করা হয়েছে। একই সাথে বিশেষ করে ঢাকার ফায়ার স্টেশনসমূহকে সতর্ক রাখা হয়েছে, যাতে করে এ সংক্রান্ত যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত রেসপন্স করা যায়।’